T3 || বর্ষ শেষে বর্ষবরণ || সংখ্যায় কুণাল রায়

‘নববর্ষ’

এপ্রিল মাস। সূর্যের তেজ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আকাশ মেঘমুক্ত। সন্ধ্যেবেলা দক্ষিণের বাতাস সৃষ্টি করে এক মনোরম পরিবেশ। গোধূলি লগ্নের হালকা গোলাপি আভা দৃষ্টি আকর্ষণ করে বারবার, প্রতিবার।
এরই মাঝে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসছে বাঙালির নববর্ষ। একরাশ প্রতিশ্রুতি। একগুচ্ছ আনন্দ। এক আকাশ ভরা সূর্যতারা। দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড়। গয়নার দোকান গুলোতে হালখাতা খোলবার পালা। পাশাপাশি মন্দিরে মন্দিরে দমবন্ধ করা ভিড়। হাতে নৈবেদ্য। ভক্তিধারা অব্যাহত। এই গ্রীষ্মের রক্তিম চক্ষুকে উপেক্ষা করে দেবতা দর্শনে হৃদয় বড় ব্যাকুল আজ! দর্শনের পশ্চাতে প্রসাদ বিতরণ। কপালে সিঁদুর ফোঁটা। দিন গুনতে থাকা কবে এই মনের অভিলাষ পূরণ হবে! সন্ধ্যেবেলা পাড়াপ্রতিবেশীর আমন্ত্রণ। মাটির প্রদীপ জ্বালানো। মুখ মিষ্টি। জলসা। শুভেচ্ছা বিনিময়। জীবনের যন্ত্রণার মাঝে এক টুকরো উল্লাসের স্পর্শ, এক চিলতে রোদের মত! গনেশ ও মা কমলার আরাধনা ঘরে ঘরে। এক মাহেন্দ্রক্ষণ।এক পবিত্র মুহূর্ত। শান্তি ও সমৃদ্ধির এক অনন্য বাতাবরণের সাক্ষ্য বহন করবে এই বসুন্ধরা।
স্বামীজী বলেছেন তাঁর প্রবন্ধ “জাতির কথায়” : ” অতীতের গর্ভেই ভবিষ্যতের জন্ম “। তাই অতীতকে বিসর্জন দিয়ে নয়, ভুলে গিয়ে নয়, অস্বীকার করেও নয়, সুখ স্মৃতিকে অবলম্বন করেই আগামী নতুন বছরকে আলিঙ্গন করতে হবে, সাজিয়ে তুলতে হবে। জানি এই সকল বলা যতটা সহজ, করে দেখানো ততটাই কঠিন! তবু প্রচেষ্টা টুকু থাকা প্রয়োজন। সফলতা বা বিফলতা আগামীদিনের গর্ভে। তাই আর কাল বিলম্ব না করে, আসুন নববর্ষের এই নবীন সুরেলা ধারায় নিজেদের গা ভিজিয়ে সূচিত হোক এক নতুন পর্ব, এক নতুন অধ্যায়!!

‘শুভ নববর্ষ’

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।