সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে কুণাল রায় (পর্ব – ৩০)

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা :
ত্রিয়দশ অধ্যায় : ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞ বিভাগ যোগ পর্ব ১ :
অর্জুন ভগবানকে বললেন যে তিনি প্রকৃতি, পুরুষ, ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞ, জ্ঞান প্রভৃতি সম্পর্কে অতীব আগ্রহী। ভগবান বললেন যে এই শরীর ক্ষেত্র এবং যিনি এই শরীর সম্পর্কে জ্ঞাত তিনি ক্ষেত্রজ্ঞ! তিনি পার্থর সম্মুখে উল্লেখ করলেন যে তিনিই সর্বোত্তম ও সর্বজ্ঞ।
পরমেশ্বর অর্জুনকে ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞ সম্পর্কে এক বিবিধ বর্ণনা দিলেন। তিনি বললেন এই গূঢ় বিষয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাধকের দ্বারা বিভিন্ন রূপে বর্ণিত হয়েছে।
অমানিত্ব, দম্ভশূন্যতা, অহিংসা, সরলতা, আত্মাসংযম এবং তাঁর প্রতি এক অনাবিল ভক্তি স্রোত – এই সকল জ্ঞানের প্রতীক। এর বিপরীত সকলই অজ্ঞান।
ভগবান জ্ঞাতব্য বিষয় অর্জুনকে অবগত করালেন, যা অমৃত্সম। সকল শুদ্ধ বিষয় অনাদি ও তাঁর আশ্রিত। একে বলে ব্রহ্ম এবং তা কার্য কারণের অতীত। তিনি সদা কর্ণযুক্ত। এই জগতের সবকিছুকে পরিব্যাপ্ত করে তিনি বিরাজমান। তিনি পরমাত্মা। তিনি সকল ইন্দ্রিয়ের পিতা। তবু অনাশক্ত। তিনি সকল প্রাকৃতিক গুণের অতীত। কিন্তু সকল গুণের ঈশ্বরও বটে।
তিনি পরমতত্ত্ব। সকল জীবের বাইরে ও অন্তরে বিদ্যমান। তাঁর থেকেই এই বিশ্বচরাচরের সৃষ্টি।তিনি অব্যয় ও অবিভক্ত। বহু দূরে তিনি। তবুও সকল জীবের নিকট।
পরমেশ্বর অবিভক্ত। তিনি এই বিপুল সৃষ্টির পালক। তবুও তাঁকে সৃষ্টি ও ধ্বংসের আদিস্রোত রূপে বিবেচিত করা উচিত।
ক্রমশ…