বহুবছর আগে আমি একটি ছোট গল্প পড়েছিলাম।লেখক ও হেনরি। “গল্প দি গিফ্ট অফ ডি ম্যাজাই”। গল্পটিতে কোন এক জাগায় আত্মত্যাগের কথা লিপিবদ্ধ করা আছে। এবং এই আত্মত্যাগের কীর্তনের ভিত্তি স্থান হয়েছিল প্রভু যীশুর মানব কল্যাণের বৃহত্তম স্বার্থকে মননে রেখে!
কিন্তু এই মহিমার কীর্তন গেয়ে গিয়েছেন উনি বহু শতাব্দী পূর্বে! মাদার মেরী তাঁকে কুমারী অবস্থাতেই এই পৃথিবীতে এনে ছিলেন, পরিচয় করিয়েছিলেন মানব জাতির সাথে। ক্রমে তাঁর দৈবসত্তার শতদল বিকশিত হতে লাগল। সাথে ষড়যন্ত্রের বীজও একটু একটু করে নিজেকে এক বটবৃক্ষে রূপান্তরিত করল। এবং কালের অমোঘ নিয়মে প্রভুকে প্রথমে চরম বেত্রাঘাত এবং পরে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয়েছিল। কথিত আছে তিনিই প্রথম জিউ যাকে এই চরম দন্ড দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর প্রভু তাঁর স্বর্গের নন্দন কাননে ফিরে যান। তাঁর মহৎ উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর আজও এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সেই অসম্পূর্ণতা সম্পূর্ণতা প্রয়োজনে এক অশেষ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু কোথায় এই পূর্ণতা! চারিদিকে শুধুমাত্র লোভ, লালসা ও স্বার্থের মৃত্যু নাচন। মানবতা আজ বিপন্ন। নেই কোন সাথী, কোন সমব্যথী। আছে শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের হুংকার ও তান্ডব! প্রকৃত অর্থেই ধ্বংসের মুখে আজ পৃথিবী! তাই অনন্ত আলোর পথ দেখানোর জন্য চাই আরেক মহামানবকে! ঈশ্বর প্রতিবার তাঁর অংশজাত অবতারকে পাঠিয়েছেন পরিত্রাণের অভিপ্রায়, তাই আজও আমরা আকুল প্রার্থনায় রত, সেই পরমপিতার আবির্ভাবের জন্য। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সেই অমর বাণী:” যুগে যুগে যখনই অধর্মের উত্থান ঘটবে, তখনই আমি আবির্ভূত হয়, নাশ করব সেই অধর্মের এবং পুনরায় ধর্মের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করব”, আজ বড়ই প্রাসঙ্গিক !!