প্রবাসী মেলবন্ধনে কল্লোল নন্দী (আটলান্টা) (পর্ব – ১৭)

দৈনন্দিন

পার্থ খবরের কাগজটা গুটিয়ে টেবিলের উপরে রেখে মুরালিকে বলল, সব শিয়ালের এক রা – অনেকটা তেমনি হল।

মুরালি জিজ্ঞাসা করল, কি হল আবার?

পার্থ বলল, দেখছ না? লাইন দিয়ে সবাই পদ্ম পুরস্কার রিজেক্ট করছে।

মুরালি হাসতে হাসতে বলল, আমাকে দিলে আমিও তাই করতাম।

একটু বিরক্ত হয়েই পার্থ বলল, থামো! তোমাকে কেউ পুরস্কার দিচ্ছে না। তাই এত চাপ নিয়ো না। তারপর একটু থেমে জিজ্ঞাসা করল, আচ্ছা, রিজেক্ট করতে কেন?

মুরালি মুচকি হেসে উত্তর দিল, পদ্ম পুরস্কার পাওয়া লোকের লিস্টা দেখ আর যারা রিজেক্ট করেছে সেই লিস্টটা দেখ। অত লম্বা লিস্ট কেউ মনে রাখে না, মনে যদি রাখে রিজেক্টের লিস্টটাই মনে রাখবে।

শুনে পার্থর মুখ হাঁ হয়ে গেছে।

মুরালি বলল, পুরস্কার পেলেন – অমুক, তমুক, এবং তার সাথে আরো এতসত লোক – এই বলে পাঁচের পাতার তিনের কলমে একটা খবর বের হবে। সেটার ছবি তুলে, তাতে নিজের নামটা হাইলাইট করে, ফেসবুকে দিলে হয়ত কেউ কেউ পড়বে। আর পুরস্কার রিজেক্ট করলে, সব কাগজের হেডলাইন নিউজ। নানান ইন্টারভিউ। কোনটাতে বেশী প্রচার? রইল বাকি পুরস্কার পাওয়ার খ্যাতি। রিজেক্ট করলেও সে তো পেয়েই গেছেন। এবার বল, তুমি হলে কি করতে?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।