|| কালির আঁচড় পাতা ভরে কালী মেয়ে এলো ঘরে || T3 বিশেষ সংখ্যায় কেকা মল্লিক

মা

চিতার শেষে মায়ের আঁচল ছিল যার ভরসা
খুদকুঁড়ো জোগাড় করতে বেঁচে ছিল মা গতর
সবকিছু বৃথা গেল একদিন সে পুরুষ হল
ভুলে গেলে শৈশব মায়ের স্নেহের স্থপতি
সেই একদিন মাকে ছেড়ে গেল স্টেশনে জীবন করতে ফর্সা !

মা

শখ করে বিয়ে দিয়ে ছেলের বউ এনেছিলো ঘরে
গেঁথেছিলো সে স্বপ্নের মালা ফুলডোরে একদিন তাকে ফেলে গেল তারা কোন এক হাসপাতালে
সেবা নাকি তাকে করবে সেবিকা
তারা রবে একা একা
ওরে বাছা কী হারালি কি জানিস না তুই ফিরে দেখে বাড়ি বেচে গেছে সাথে মা

মা

ঘর ছিল , বর ছিল , ছিল সাজানো সংসার হঠাৎ নিভে গেল দ্বীপ আধার ঘনালো স্বজন পরিজন ছেড়ে গেলে তাকে পলকে
যে ছিলো আপন , ঠকালো তাকে
তাই তার ঠিকানা বদল
মা এখন গান গায় “এই বেশ ভাল আছি”

মা

বাপ মরা মেয়েটার দোজ বর বিয়ে হল
শর্ত সে মা হবেনা কোনদিন , আগে তার ছেলে আছে
একদিন সাদা থান পড়ে ভাসিয়ে দিলো গঙ্গার জলে
দেখলো না কেউ জিজ্ঞেস করলো না বুকের ব্যথা যে সন্তানের জন্য নিজের জঠরে নিলোনা মাতৃত্ব
ডাকলো না কোনদিন মা বলে তারা
ফেলে দিয়ে গেছিল কোন এক আশ্রমে হারিয়ে গেল ভাই হারিয়ে গেল পুরনো রাস্তা বাড়ি
কলকাতা শহর আজ বহুদূর আজ সে বাস করে এক অন্তঃপুর অবসরে
খুব কি মন্দ আছি বেঁচে তো আছি !

মা

একদিন উঠোনের কোনে শিউলি বিছিয়ে সুরভিত ছিলো মা’য়ে ছা’য়ে
আজ তারা আবছায়া স্মৃতির সরণী বেয়ে!

মেয়ে

আর কিছু কচিমন আঁচল খুঁজে বেড়ায় বালিশের পাশে
অনুশাষনের পর আস্কারা যদি দিতো মা ভালোবেসে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।