কাব্যজোনে লেখাওয়ালী

রোদবাড়ি

আমার মনটাকে ব্যালকনি উপাধি দিয়েছি
শুধু রোদ্দুর এর মতো দেখতে তুমি টার জন্য ।
আমি নিশ্চুপে দাঁড়িয়ে থাকা বহু পুরানো একখানা বাড়ি,
রংটা ক্রমশ ঝড়ে গেছে শীতের শিমুলের মতো।
চারিদিকে মাংস ক্ষয়ে কঙ্কালসম ইট হাঁ করে রয়েছে,
বটের চারাগুলো আমার ক্ষত না বুঝে,
নিজেদের মূল ছুরির ফলার মতো বিঁধে দিয়েছে,
আমার ক্ষতবিক্ষত শরীরে।
যন্ত্রণা হয়, তবু ওরা যে সন্তান ।
এই জীর্ণ আমিটায় তুমি যেন,
সকালের সদ্য জাগরিত রোদ্দুর ।
ঘুম থেকে উঠেই ঝুপ করে আমার মধ্যে চলে আসো।
সারা রাতের ভয়ের পর তোমার উষ্ণতায় আমি স্নান সারি।
আমার সারা শরীর তোমার উষ্ণতায় মাখামাখি হয় ।
আমি লজ্জায় লাল হই তুমি ততই বেশী মজা পাও।
তোমার উষ্ণতাতেই আমি আবার চুল শুকাই।
তখন আর নিজেকে কঙ্কাল লাগে না,
তোমার উষ্ণতা আমার সব ক্ষত সারিয়ে তোলে।
বটদের আমি ভালোবেসে আগলে রাখি।
তখন আর একটুও রাগ নেই ।
আমি একসময় ভীতরে পুড়ি, তবু বাহিরে ঠান্ডা।
সর্বাঙ্গ পুড়িয়ে দাও, তবু বলতে পারি না,
তখন যেন আরো ভালোবাসা জাগে, আরো আগলাতে চাই তোমায়,
তুমি আমাকে ছেড়ে দিগন্তে ডুব দাও।
আমি দেখি, আর দেখি, তোমার চলে যাওয়া ।
তোমার চলে গিয়ে আবার ফিরে আসাই ধর্ম ।
আমার জীর্ণ শরীরে অপেক্ষার প্রহর গোনাই বর্ম।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।