কবিতায় কুশল ভৌমিক
জন্মদাগ
ছেলেবেলায় একদিন
ডান উরুর মাঝখানে একটা কালচে দাগ আবিষ্কার করলাম
মা জানালেন এ আমার জন্মদাগ।
সেই থেকে বহুদিন আমি একাকী বহন করেছি
জন্মদাগের রহস্য
হঠাৎ জন্মদাগটি আমার কাছে ভীষণ অসহ্য
আর বিরক্তিকর মনে হতে লাগলো
প্রতিদিন স্নানের সময় সাবান দিয়ে সজোরে ঘষে
আমি জন্মদাগটি উঠিয়ে ফেলতে চাইতাম
মা খুব হাসতেন আর বলতেন–
“লাভ নেই খোকা, জন্মদাগ কোনোদিন ওঠে না”।
মা নেই, বাবা নেই -অনেক গুলো বছর
বাবার আঙুলের স্পর্শ
মায়ের দেওয়া চুমুর দাগ
সদুল্যাপুর গ্রাম, ধলেশ্বরী নদী, শৈশবের রঙ ছড়ানো ভিটেমাটি আর ঘূর্ণায়মান পৃথিবীর
শরীর জুড়ে লেগে থাকা অন্ধকারের মতো
‘তুমি’ নামক একটি দুঃখ
আজও লেপটে আছে আমার শরীরে।
হে দুঃখ জাগানিয়া
তুমিও কি জন্মদাগ?