নিত্যদিনের যাপনে কঠিন সময়গুলোর সাথে একাহাতে লড়তে লড়তে দু’চোখ যখন বন্ধ হয়ে আসে,
তখন মনে হয়…. ছোট্ট এই জীবন থেকে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে কুড়িয়ে পাওয়া সকল উল্লাস-উদ্দীপনার আলো শরীর থেকে মুছে বুকভরে ক্লান্তির শ্বাস নিই।
পরিত্যক্ত অনুভবের জরতা কাটিয়ে রিক্তহৃদয়ের ব্যাথার অন্তরালে নিজের হাতেই মলম লাগাই, অন্যের সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ না থেকে কেবল নিজেকে ভালোবাসি।
কেউ পাশে থাকুক আর বা নাই থাকুক, নিজের একাগ্রতার জোরে বাস্তব এবং মনের জগতের সাথে অত্যন্ত বেশী মানিয়ে গুছিয়ে চলি।
আর মিথ্যের মোড়কে মুরিয়ে রাখা সমস্ত অবহেলাকে উখরে ফেলে… আমি, আমার ঘর আর ঘরের চারটে দেওয়ালের মাঝের বেশ একটা কোণে নিজের সাথেই নিজের সংসার বাঁধি।
কিন্তু ঠিক তখনি যৌবনের সকল উন্মাদনা নিয়ে বাইরে অঝোরধারায় শুরু হয় বৃষ্টি, আপনত্বের বর্ণিল আনন্দ ধারায় ক্রমান্বয়ে বইতে থাকে উথাল পাতাল হাওয়া।
যার অপরূপ মায়ায়, উন্মত্ততার ছন্দে ব্যর্থতার জোয়ারে উথলে ওঠা আমার শরীরের সমস্ত একাকীত্বের স্পর্শ চিরতরে মুছে যায়।
এমনকি বিষন্নতার উপর ভর করে আমার শিরায় শিরায় জেগে উঠা আগুন, জ্বলে ওঠা বিপ্লব পৃথিবীর সমস্ত নিঃসীম নির্জনতা ভেদ করে রাতের তীব্র গভীরতায় ভেসে যায় ভোরের হাসি হয়ে।