T3 || দোল পূর্ণিমা || সংখ্যায় লিখেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
অন্য রং
হাওয়া পেরিয়ে গ্যাছে কৈশোর বেলা।
বড়োই দামাল। ক্লাস সেভেনের ছোটো
ছেলেটির মতো সে আর কোমল নয়।
গলায় পুরুষ,বলায় পুরুষ, বিনয় খুলে
প্রতিবাদ।বুঝি ও শীতের কোমল ছেড়ে
মানুষ হয়ে উঠছে।বেপরোয়া।হুড়মুড়
ঢুকে যাচ্ছে ঝোপঝাড় বা বহুতল,
শিষ্টাচার শেখায়নি কেউ।
ভালোভাবে দেখি তাতে বেশ রংও
লেগেছে। রামধনু জামা।রাস্তায় আবির
ওড়ায়নি কেউ তবু হাওয়া,বুঝি সব জানে
কখন আগুন,কখন বরফ।
সামাল পোশাক।বেপরোয়া সুখ।এখন
চত্তি,চিত্তের সুখ ও বিভ্রম।মনকে সামলে
রাখা নয়।উড়ুক উড়ুক।শিমুলের তুলো
হয়ে,চিলের পালক হয়ে,সুতোছেঁড়া ঘুড়ি
হয়ে যতদূরে যায়…
এখন হোলি।মাঠে মাঠে উড়ে যায়
হোলিকার ছাই।যাদের কিছুই নেই শুধু
হা-হুতাশ তাদের জন্য রাখা দু-আনা ফসল।
গরম আলো।যতটা গরম ততই নরম হয়
মন।মনের কাঙাল।সব বদলায়।
আলোর বদলে দ্যাখো আনকোরা রং ।
এত আলো কুয়াশারা দূরের আশ্রয়।
এখানে দু-মাথা পাহাড় নেই,সীমানা সবুজ।
ক্লান্ত হুইশেল ডাকে,মানভূম রেলে যায়
সাবেকের ট্রেন। পলাশ-শিমুল মেখে
ওইতো শ্রীদাম।বরাভূম পার হয় মন।
এখন বুরুডি জলে ছায়ার মিছিল।
ইছামতীর কবি আরণ্যক কাব্যে গাঁথেন
কথামালা।এখন বেশ মনে পড়ে
মনকেমনের ভাষা। অক্ষম তুলিতে
কেউ মিলিয়ে দিচ্ছেন ইছামতীর
ভাসানের সঙ্গে শালের দীর্ঘচ্ছায়া।
মরা মনে কে ছেটালো ধুলোটগোলাপি?
কোন মদনশর চুপিচুপি গেঁথেছে অন্তর!
আজ বসন্ত আজ হোলি আজ চৈত্রদিন।