T3 || আমার উমা || বিশেষ সংখ্যায় জয়িতা ভট্টাচার্য

বানভাসি
পথে নামলে পায়ে কাদা লাগবে।ঘুড়ি ওড়ালে হাত কাটবেই মাঞ্জায়।
মানুষের উৎসব বন্যায় ভাসে ফি-বছর।দেখেছি ছোট থেকে এই প্রকৃতি।মানুষের প্রতি ভ্রুক্ষেপহীন প্রকৃতি।মানুষ বেঘর হবে,বুক ফাটা কাঁদবে তবেই ডাকবে ঈশ্বর।একথা জানে গাছ,আকাশ এবং তারা।
প্রতি সন্ধ্যার শঙ্খের ডাকে ফিরে আসে পাখি যেভাবে এসেছে অনেক ছেলেরা মাঠ হতে।খেলাধুলো সেরে। যেভাবে গোঠে ফেরে দগ্ধ ঘরের গরু।
পার্ক স্ট্রিট থেকে জোকা খুঁটি পুজো শেষে জ্বলে ওঠে সিগন্যাল। শত শত বাহন নিয়ে আসে ঘরে ক্লান্তি।মলিন আলোর নিচে ছোপকাটা শাড়িতে সস্তার আরতি।
এ শহরে চাঁদ নেই।বুড়ো মথ ওড়ে।
উৎসব তিথি মেনে আসে অনুদার সৌজন্য করে। ভাদ্রমাসের রোদে সহসা নিম্নচাপ হয়।
কাদা মাখা পায়ের মিছিল এগিয়ে যায় নগ্ন কাঠামোর দিকে।এখনও তেল রঙে চক্ষু আঁকা বাকি।দেখি,
আবর্জনার ওইপাশে কাশফুল।
ইস্টার্ন বাইপাসে পড়ে আছে কাটা ঘুড়ি।