T3 || ১লা বৈশাখ || বিশেষ সংখ্যায় জয়িতা ভট্টাচার্য

অপরাহ্ন

সেদিন দু পাশে সারিবদ্ধ গাছ
অলঙ্কার আর অনুপ্রাশে মেতে উঠেছিল।বৃদ্ধ পাতারা নিরব অন্তিমে মাটিতে রেখেছিল মাথা।পিচের রাস্তাটা অভাবনীয় সম্ভাবনায় সোজাসুজি এসে এক অসম্ভব বাঁকে থমকে দাঁড়াল।ঠিকরে পড়ছে রোদ্দুর।
দূরে কোথাও আঙিনার মতো স্নিগ্ধ ছায়া ছুঁয়ে ভেজা চুল পেতে এক মা ছেলের আসার পথ চেয়ে একথালা ভাত বেড়ে বসেছিল।মায়া আলো।
তামাটে মুখে স্বপ্নভাসা চাহনি ছেলেটির।ছেলেটির মুঠোয় মেলা চলভাষ।কান থেকে নেমে আছে সাদা তার।
গুনগুন গুনগুন গান গাইছে সে।জীবনমুখী কানে গুঁজে পথের এপার থেকে আসছে এপার।ছেলেটি ভাবছে,ছেলেটির কী যেন ভাবছে।হয়ত সেই সবুজ মেয়েটির কথা।মুখে মৃদু জ্যোৎস্নার হাসি লেগে আছে।

কোনো ভূমিকা কিম্বা উপসংহার ছাড়াই ট্রাকটি এসে পিষে দিল তাকে।
নিবাত নিষ্কম্প বাতাসে এখন কর্কশ হাসছে সূর্য টা।
জীবন জানা ছিল মৃত্যুর কথা জানা ছিলো না ছেলেটির।

রক্তের গন্ধে এখন সারি সারি কিট এসে খুঁটে নিচ্ছে যাবতীয় হেমোগ্লবিন আর প্লেটিলেট।
ছেলেটির চোখ খোলা।নিথর দুপুর।
অপেক্ষা করছে ওর মা গুনগুন করে গাইছে সেই একই সঙ্গীত। জীবনের গান।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!