কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে ইব্রাহিম সিকদার

সুখ ভুলা মানুষ
কয়টা ব্যথা লেখা যায়, কয়টা জীবন দেখা হয় ?
এপিঠ-ওপিঠের ডগায় দাঁড়িয়ে;
কতজন প্রকাশ করতে পারে তার জীবনের কষ্টের বর্ণনা ?
অদৃষ্টের ভার বইতে বইতে চরম ব্যগ্রতায়
যখন বুকের বা-পাশে ধড়-ফড় করে তখন আকাশ জমিন কেঁপে কেঁপে উঠার শব্দের কথা কি করে বুঝানো যায় ?
বিলাপের শব্দ, স্ফূর্তিহীনতার আলাপ
এসব মানুষের কাছে বিরক্তের মনেহয়৷
তাঁরা শুধু বিজয়ের কথা শুনতে চায়; তাঁরা শুধু শক্তি পেতে চায়, শক্তি সামর্থ্য দিয়ে অর্জন করা বিজয়ের গল্পে৷
আমি বা আমার মতো অধোগামীদের গল্পে আছে
তিক্ততা আর বিষাদময় বিবরণ৷
সে বিবরণে, সে আচরণে, নেই ক্ষুধা নিবারণের সুধা৷
আছে শুধু একলা বিলাপের অসামান্য
যন্ত্রণায় ঘেরা এক অলক্ষ্মী প্রচারণ৷
আহা জীবন, কেন এমন ক্লেশের ধারণ বাহন !
একটু একটু করে সুন্দরের সাথে পরিচয় ছিলো৷
কতো পাখামেলা গল্পের মাঝে বিচরণ,
কতো মধুর স্বপ্নে কাটতো সেই পুরনো হয়ে যাওয়া রঙিন সময়৷
মায়াময় চোখ, হাসিতে ভরা মুখ, রোদ বা বৃষ্টির দিনে আড্ডায় আদুরে কথামালা৷
এসব কেন কেড়ে নিলো?
সে প্রশ্ন করলে এখন খুব অপরাধ হবে !
কতোটা সময় পাওয়া উচিৎ প্রাণভরে বাঁচার তোমরা বলো ?
আমি কিছু বলবো না শুধু চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে, অন্ধকারে ডুব দিয়েছি সুন্দর শুরু হওয়া গল্পের অল্প কিছু পরে৷
এখন শুধু অতল গহব্বরে তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়৷
ভালো থেকো পৃথিবী; ভালো থেকো সব ব্যথা ভুলে নতুন জীবন গড়া মানুষ গুলো৷
আমি পারলাম না কারণ আমি আজীবন
দুঃখ পেয়ে পেয়ে সুখ ভুলা মানুষ৷