আমি বরাবরই বেখেয়ালি
এই যেমন ধরো,
সুবিতার হাত ধরে শিমুল গাছের তল ঘেঁষে
তারো অনেক উপরে মেঘেদের দলবলে
সরু পথ ধরে, পথের দুধারে
সবুজ ঘাসে হাত বুলাতে বুলাতে
ছোট ছোট স্বপ্নময় কথা বলতে বলতে
সন্ধ্যা আকাশের লালচে ছটা শরীরে মেখে
দুটি মনকে উৎফুল্ল করবো বলেছিলাম।
সেটা হয়নি আমি দুপুরের খাবার খেয়ে যেই একটু বিছানায়, ওমনি টুপ করে ঘুম আর সেই ঘুম ভেঙে উঠে দেখি রাত গড়িয়ে সকাল হবে হবে !
সেই থেকে আজ অবধি সুবিতার সাথে দেখা নেই,
আমার অষ্ট ডালের স্পষ্ট কিছু পুষ্প নিয়ে মিষ্টি করে কতো ডাকলাম কিন্তু সে বুননের বুকের উপর পা দিয়ে শেকড়ের কাছে বসে থেকে সারাদিন কি যেন বুনে !
আমি কে, কি ছিলাম কিছুই মনে নেই তার !
এভাবে কয়েক বসন্ত চলে গেলো।
যখন আমার বেখেয়ালি মনে দড়ি বেঁধে
খুব শান্ত মেজাজে নিজ ভুল খুঁজে সব স্বপ্ন উড়িয়ে
অতল খাঁদের দিকে পা বাড়িয়ে ঝাঁপ দিবো, তখন পেছন থেকে মায়া আর ভালবাসা দিয়ে ডাক দিলো সুবিতা, আমি পেছন ফিরে মাথা নিচু করে আস্তে আস্তে তার কাছে গিয়ে রেশম কোমল উমের ভিতর লুকিয়ে গেলাম আর সে আমাকে আরো একটু উষ্ণতায় জড়িয়ে নিলো বুকে,
দু’চোখের কয়েক ফোটা জল ঝরিয়ে।