সম্পাদকীয়

ঝড়ের আতঙ্কে সপ্তাহ শেষে জেরবার বাঙালি। আম্ফান যেমন তোলপাড় করেছিল কলকাতা শহরকে তেমন না হলেও, রেমাল কিছু কম ক্ষয়ক্ষতি করেনি। পার্ক স্ট্রিটের দিকে প্রচুর গাছ পড়েছে। হাওড়া স্টেশনে মানুষের ঢল। গত রবিবার বহু ট্রেন বাতিল হয়েছে।
সমুদ্রের ধার ঘেষা এলাকায় ঘর বাড়ি, গাছপালা, চাষের জমির প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেমন হয়ে থাকে প্রতিটা ঝড়ের পরে। যারা চার দেয়ালের মধ্যে থাকে, ঝড় মানে যাদের কাছে কফির পেয়ালা বা দু পেগ বিদেশি তরল তাদের সাফল্যকে এতটুকু হিংসা না করেই বলছি সুন্দরবনের জোয়ার ক্ষুধার্ত, আপনাদের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রাসী সে। বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম, তাকে এবং সেখানকার মানুষদের একটু বুঝে চলুন। প্রকৃতি এবং মানুষকে বাঁচাতে চেষ্টা করুন। ম্যানগ্রোভকে কিভাবে বাঁচানো যায় ভাবুন।
ম্যানগ্রোভ না বাঁচলে আপনার এই প্রাণের তিলোত্তমা বাঁচবে না।
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি না বিরিয়ানী? সেই তর্জায় না গিয়ে একটু ভাবা প্র্যাকটিস করলে হয়না? বাঙালি তো ভাবতে পারত বলেই জানতাম।

শুভেচ্ছা নিরন্তর ।

ইন্দ্রাণী ঘোষ

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।