T3 || বাণী অর্চনা || বিশেষ সংখ্যায় ইন্দ্রাণী ঘোষ

আমার সরস্বতী পুজো

জানুয়ারির শেষ, ফেব্রুয়ারীর গোড়াতে শীত যখন যাই যাই করেও যায় না আর কোকিলটা ভোর থেকে সন্ধ্যে অবধি প্রাণপন ডাকতে থাকে, পলাশে শিমূলে চারিদিক আগুনে লাল, কমলা হয়ে থাকে তখনি হুড়মূর, দুদ্দাড় করে বেড়িয়ে আসে সেই আশি, নব্বই দশকের ছেলেবেলা, মেয়েবেলা । তাঁরা সবাই এখন মধ্য গগনে থেকে একটু একটু করে সরতে শুরু করেছে, তবু বসন্ত পঞ্চমী বলে কথা, এইদিন তো সব মনে পরবেই ।
এইদিন কোন কড়াকড়ি নেই , শীত ঠাকুরুন বিদায় নিচ্ছেন, ঋতুরাজ বসন্ত ল্যান্ড করছেন, চারিদিকে হাসি, রঙ, গান, প্রেম । সব চোখ রাঙানি এড়িয়ে, হলুদ শাড়ীর ভাজে ভাজে শিহরণ তুলে হাজির বিশুদ্ধ প্রেম । আগের রাতে সারারাত জেগে প্যান্ডাল হয়েছে, জড়ি, চুমকি, অভ্র, কাঠ, চুরি করা ইট দিয়ে সে এক এলাহি সৃষ্টিশীলতা । কেউ ইস্কুলে যাবে খিচুড়ি খেতে, কেউ বা আবাসনেই সারাদিন । যার যেখানে টিকি বাঁধা আছে আর কি । সেখান থেকে নট নড়ন, চড়ন । পলাশের কুঁড়ি যদি জুটে যেত তবে তো কথাই নেই ।কার খোঁপার থেকে কার পাঞ্জাবির বোতামে সেই কুঁড়ি আটকে যেত তার কি কোন হিসেব আছে নাকি সেই হিসেব রাখতে আছে? ধুর সেদিন যে বসন্ত পঞ্চমী ।
পলির পরত যতই পরুক, গঙ্গা, ভোলগা, টেমস, মিসিসিপি দিয়ে যতই জল বয়ে যাক ঋতুরাজ মহাসমারহে সেদিনও আসতেন, আজও আসেন । তাঁর আসা কোন টেকনলজি আটকাতে পারে নি, পারবেও না ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।