সম্পাদকীয়

গরমের ছুটি
পয়লা বৈশাখ শেষে, ২৫ শে বৈশাখ কাটিয়ে একটা লম্বা ছুটি এসেই পড়ে । ছুটির মজা তো গত দুই বছরে হারিয়েই গেছে । শুধু ফোনে, ল্যাপটপে কি ইস্কুল, কলেজ চলতে পারে নাকি । ইস্কুলের গেট থেকে বেড়িয়ে রঙ, বেরঙের পেপসির লম্বা প্যাকেট নেই, ইস্কুল ফেরত রাধাচূড়া, জারুল, কৃষ্ণচূড়া, অমলতাসের রঙের মাতামাতি দেখা নেই, কলেজ ছুটি হবার দিন মনের মানুষের সাথে দু দন্ড জিরোনো নেই গাছের ছায়ায় বসে । ছুটিতে লম্বা পাড়ি দেওয়া নেই পাহাড়ে বা সমুদ্দুরের দেশে । আর যদি বা কোথাও না যাওয়া যায় গরমের ছুটির দুপুরে ছুটির কাজের পাহাড় ঠেলতে ঠেলতে আখের রসোয়ালার টিং, টং ঘন্টি থাকবে, বিকেল গড়ালে মাথায় ঝঁকা ভর্তি বেল, জঁুইয়ের পসরা নিয়ে হেঁটে যাবে ফেরিওয়ালা, তবে না মনে হবে দীর্ঘ, দগ্ধ গ্রীষ্মের দিন । এসব না থাকলে কি আর ছুটি হবার মজা থাকে? মোটেই থাকে না ।
আগে তো ছুটির পলতে পাকাতে হয় তবে তো ছুটির মজা রন্ধ্রে রন্ধ্রে টের পাওয়া যায় ।
যদি বা এ বছর খুলেছিল, তাও সু্য্যিদেবের তাড়নায় ঠাস, ঠাস করে ইস্কুল, কলেজের দরজা বন্ধ করে দিতে হল ।
ছুটি এত সহজলোভ্য হলে, ছুটির মজা আর থাকে কোথায়? যা কিছু সহজলভ্য তাই যে অনাদরের হয়ে যায়, জীবনের যে এমনি নিয়ম।
জীবন ছন্দে ফিরুক, গরমের ছুটিও ফিরুক তাঁর মত করে।
ইন্দ্রাণী ঘোষ