সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে ইন্দ্রাণী ঘোষ (পর্ব – ৮)

আরশি কথা

যাক নদী যেখানে নিয়ে যাবে যাক. ঢেউ ওঠে ঢেউ পড়ে. নদীর জল আদর করে ঝোরাকে. এতদিনে ঝোরা বুঝি সার্থকনামা হল. জলের আদরে ডুবে যায় ঝোরা. একি হঠাৎ যেন কেমন চোরাটান জলে. এতো না চাইতেও গভীরে চলে যাচ্ছে ঝোরা হাতে, পায়ের যেন সার নেই. তলিয়ে যাচ্ছে ঝোরা আরও গভীরে, আরও গভীরে. হঠাৎ নিজের মেয়েটার কথা মনে পড়ে ঝোরার. বড় সাধ করে মেয়ের মা হয়েছিল. সাধ করে নাম রেখেছিল আকাশলীনা. মেয়ের সাথে বেশ কিছুদিন দেখা হয় নি. এভাবে তলিয়ে গেলে যদি মেয়ের দেখা না পায়? মেয়েটাকে আর কোনদিন দেখতে পাবে না তবে? সে কি তা কি করে সম্ভব? মরিয়া হয়ে হাত, পা চালায় ঝোরা. চোরা স্রোতের কাছে হেরে যেতে থাকে. ওই তো ব্ল্যাক প্রিন্স ঝোরার ডুবে যাওয়া উপভোগ করছে. ঝোরা দেখতে পায় না তাকে. কিন্তু আদিম দৃষ্টি ব্ল্যাক প্রিন্সের চোখে জ্বলে.
স্বচ্ছতোয়াকে দেখা যায় না কোথাও.
হঠাৎ কে যেন হ্যাঁচকা টান মারে ঝোরার চুল ধরে. তারপর আর কিছু মনে নেই. যখন সম্বিত ফেরে তখন দেখে, ড্রইংরুমে আরশির সামনে বসে আছে ঝোরা. সর্বাঙ্গ চুপচুপে ভেজা. আর হাতের তালুতে একটা নরম ভেলভেটের পরশ লেগে আছে.
দুর থেকে ভেসে আসে মিষ্টি সুর. ওহ মোবাইল বাজছে. তড়িঘড়ি শোবার ঘরের দিকে যায় ঝোরা. মোবাইল স্ক্রীণ বলে ‘আকাশ কলিং’

(চলবে)

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।