সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে ইন্দ্রাণী ঘোষ (পর্ব – ১৪)

আরশি কথা

কতক্ষণ যে আকাশের কাছে ছিল ঝোরা মনেই নেই তাঁর . আকাশের বুকের মাঝামাঝি সূর্যদেব উঠে এলে, ঝোরা সামলে সুমলে উঠে বসে. আকাশ বলে ‘যাবে খন তাড়া কি’. ঝোরা বলে ‘যেতে তো ইচ্ছে করে না,’ তাহলে থাক আয়না মহলে আমার সাথে. ওই যে দেখছ রামধনুর সিঁড়ি, ওখান দিয়ে স্বপ্নরা নামে পৃথিবীর মাটিতে. আর ওই হল আয়নার মাঝে বৃষ্টির পথ, ওইখান দিয়ে নেমে যায় ফোঁটারা. ওই পথেই বৃষ্টির সাথে সবুজের রসায়ন. ফোঁটারা ঝোরে বনানী দেহে এই পথ দিয়েই. এই পথেই বর্ষার ধারারা পান্না সবুজ রং নিয়ে যায় গাছেদের জন্য. আর এই পথেই হলুদ ধানের ক্ষেতে খেলতে নামে পাগল হাওয়া. বসন্ত ডাক পাঠায় ওই কমলা সিঁড়ি বেয়ে. রঙের গল্প শোনে ঝোরা আকাশের বুকে শুয়ে. আস্তে আস্তে হাত বুলিয়ে দেয় আকাশ ঝোরার চুলে. আদরে ভরিয়ে দেয় আকাশ ঝোরাকে. দু হাতে বুকের মাঝে পরম স্নেহে আগলায় আকাশ ঝোরাকে. রঙের কথা, রূপের কথা আদরের স্পর্শ হয়ে ঝরে ঝোরার অস্তিত্বে. আদরের পরশে ঝোরা নতুন করে বাঁচে আকাশের বুকে.
আকাশের কানে কানে বলে ঝোরা ‘সূয্যিদেব পাটে বসলেন, এবার আসি’,বলে আকাশের ঠোঁটে আদর করলে ঝোরা. আকাশ ঝোরাকে বলে ‘আমি রইলাম তোমার জন্য, যখন খুশি চলে এস.’ ঝোরা বলে ‘হ্যাঁ আসতে আমাকে হবেই’. মেঘ, বৃষ্টির সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে ঝোরা. বিকেলের আকাশে দু – একটা তারা ফুটতে শুরু করেছে তখন.

চলবে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।