• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে গৌর হরি মান্না (ভ্রমণ কাহিনী)

মায়াবী মানস

যেখানে মানস নদী নীলরঙা শাড়ির আঁচল পেতে রেখেছে গহন অরণ্যের গভীরে, যেখানে চাঁদনি রাতে জ্যোৎস্নায় মাখামাখি হয়ে দিকচক্রবাল জুড়ে অপেক্ষায় রয়েছে পড়শি দেশের পর্বতমালা, পাগলা হাওয়া আর সাঁই সাঁই শব্দে কেঁপে ওঠে জঙ্গলের জোৎস্না হৃদয়, বিভিন্ন জংলী ফুলের হাসি আর রঙ-বেরঙের প্রজাপতির ওড়াউড়ি তে ফুটে ওঠে প্রাণের স্পন্দন, সেই স্বপ্নে আঁকা মায়াবী অরণ্যের কাছেই তো হৃদয় রেখে ফিরে আসা।
পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে আসামের পাঁচ জেলা নিয়ে বিস্তৃত মানস জাতীয় উদ্যান। কোঁকড়াঝাড়, উদলগুড়ি, দারাং, চিরাং, ও বাকসা এই পাঁচ জেলার এক হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত মানস জাতীয় উদ্যান। মানস অরণ্যের প্রধান প্রবেশদ্বারের দুই পাশে বিছিয়ে রয়েছে আদিগন্ত বিছানো সবুজ চা বাগান।
চা বাগান অতিক্রম করে যতই এগিয়ে যাবেন ততই আপনাকে এক মোহময় আচ্ছন্নে বেঁধে ফেলবে এই অরণ্য। এক পাশে সবুজ ঘাসবন আর এক পাশে নাম না জানা নানা গাছের সারি।
প্রায় পাঁচশো পঞ্চাশ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এই অরণ্যে। অন্যদিকে পঞ্চান্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, তিনশো আশি প্রজাতির পাখি, পঞ্চাশ প্রজাতির সরীসৃপ এছাড়া বাঘ, লেপার্ড, হাতি, হরিণ, সম্বর, গন্ডার, গাউর, বুনো মোষ, ঢোল, বন বিড়াল, বাঁদর, ময়ূর, হর্নবিল ও অসংখ্য প্রজাতির পাখির আবাস।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।