সান্টাদাদু আসেন-
লাল-পোষাকে লালটুপি
মধ্যরাতে চুপিচুপি।
হাতে তার মস্ত থলে
যে দেখে, সেই বলে।
স্লেজগাড়ি বলগা হরিণ
সাদাবুড়ো বরফ মেখে
এত্তো চকোলেট যায় যে রেখে—–
বড়দিন মানেই ক্রিসমাস-ট্রি আর সান্টাক্লজ বুড়োদাদু। তবে একটু সান্টাদাদুর গল্প হোক।
বড়দিন মানেই হল সান্টাক্লজ। এই তোমরা ছোটোরা যেমন, কেউ সান্টা দাদুর নাম শোননি এমন নেই বললেই চলে। আট থেকে আশি, বিশেষ করে বাচ্চারা তো সান্টাক্লজের দারুণ ফ্যান। আমিও কম নই।তবে আমায় কিন্তু উপহার দেয় না।
শিশুদের ধারণা অনুযায়ী তিনি থলে ভর্তি করে উপহার নিয়ে আসেন ২৪ শে ডিসেম্বর গভীর রাতে।বড়দিনে সান্টার ক্লজের কাছ থেকে পাওয়া চকলেট ও উপহার যেন বাচ্চাদের পরম পাওয়া।
সান্টাকে নিয়ে বাচ্চাদের মনে মাতামাতির শেষ নেই। সান্টার বসবাস বরফে ঢাকা উত্তর মেরু। আটটি বলগা হরিণ টানা বিশাল এক স্লেজ গাড়িতে আকাশে চড়ে বেড়ান তিনি। ক্রিসমাসের সন্ধ্যাবেলায় নর্থ পোল থেকে আটটি বলগা হরিণ টানা স্লেজ গাড়িতে চড়ে বাচ্চাদের বাড়ির চিমনি দিয়ে ঢুকে উপহার রেখে যান।
সান্টাক্লজের গল্প থেকে জানা যায়, তার থলিতে থাকত বাচ্চাদের জন্য আলাদা আলাদা উপহার। যেমন- শান্ত শিশুদের জন্য থাকত চকলেট, খেলনা আরও চমৎকার সব উপহার।পাশাপাশি দুষ্টু বাচ্চাদের জন্য থাকত কয়লার টুকরো। এর পিছনে কারণ হল শিশুরা যাতে সারা বছর শান্ত হয়ে থাকে।
সান্টাক্লজের গল্পে সান্টা হল একজন বয়স্ক দাদু। যার কাঁধে থাকে ঝোলা ভর্তি ব্যাগ, পরনে লাল রঙের পোশাকের পাশাপাশি মাথায় লাল টুপি, চোখে চশমা ও এক গাল সাদা দাঁড়ি।
সান্টা আসলে সেইন্ট নিকোলাস নামের একজন সন্ন্যাসী। তুরস্কের পাতারা নামক অঞ্চলে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।পবিত্রতা ও উদারতার জন্য তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন।
সেইন্ট নিকোলাস তার সমস্ত অর্থ ব্যয় করতেন গরিব মানুষদের সাহায্য করার জন্য। বলা হয়, অসহায় মানুষদের সাহায্য করবার জন্য তিনি নাকি দেশে দেশে ভ্রমণ করতেন।
সান্টাক্লজের একটি খুব জনপ্রিয় গল্প আছে, একবার তিনি দরিদ্র পরিবারের তিনটি মেয়ের
বিয়ের যৌতুক খরচ বহন করেন, এ ছাড়াও বহু বছর ধরে শিশু ও নাবিকদের রক্ষা করবার জন্যও তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ২৪ শে ডিসেম্বর গভীর রাতে ছোট ছেলেমেয়েদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের উপহার দেওয়ার জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন।
তোমরা, তোমাদের ব্যাগ-পত্তর টেবিল আলমারী ছানমিন করেছো তো? সান্টাদাদু কিন্তু লুকিয়ে-চুরিয়ে মধ্যরাতে কেক, চকোলেট, খেলনা দিয়ে যায় চুপটি করে বড় কোনো থলে বা বাচ্চাদের ব্যাগে।পেলে পরে হৈ-চৈ তে জানাবে তন্বী দিদির কাছে। অপেক্ষায় রইলাম।