প্রথাগত ভক্তিমতী ছিলাম না কোনদিন
আমি দেখেছি নিজেকে নদীর মতন
নদী আর নারী, নারী আর প্রকৃতি
রহস্যে ভরা আদিম
আরও আদিম আমি রঘু সেনের মা।
এট্টুকুন রাঘব রঘু
কেউ কেউ পৃথিবীতে বড় তোড়জোড় করে
মাধ্যাকর্ষণে মায়ের অন্ধকার জঠর ছাড়ে
ওকে আমি মায়ের আদরে খুদে বলি
খুদে তাই হাসে ফোকলা দাঁতে।
প্রকৃতির কোলে কাঁদনে নাচনে বেড়ে ওঠা
দুটো প্রকৃতি নিয়ে বেড়ে ওঠে মানুষ
মা আর মাটির এবং তার নীরব ছকে ঘূর্ণন
খুদে ছিল অনন্ত বিস্ময় শিশির মাখা পাইন
রঘু নদীর কোলে বেড়ে চলে।
পিতৃতান্ত্রিক একটা ঘোর থাকে
পিতার অমূল্য দায়-দায়িত্ব না থাকলেও
তর্পণে পিতৃপুরুষ ছোঁবে নদীর জলস্রোতে
জলস্রোত এক প্রবহমান রক্তধারা
নদী আর নারী তাই প্রশ্ন রেখে যায়।
রঘুর নদীর পাড়ে মাকে খোঁজে
মা নদীর পাড়ে বহ্নিমান প্রকৃতি, ললাটে শূন্য
মা হয়ে উঠছে প্রকৃতি রঘু পিতৃতর্পণে সূর্যরশ্মি
দেবীপক্ষের সূচনা হলো নদীর জলের ধারায়
নদী প্রকৃতি মা মিলেমিশে কৃষ্ণপক্ষ বিসর্জন।
আমাদের আবহমান কাল নদীর শত বাঁক
ওর হাতে ঘট তুলে দিয়ে বলেছিলাম
গুষ্টির সৃষ্টিধরদের থেকে মঙ্গলচেতনা কাম্য বাবা!
সাম্যবাদ নদীর ধারায় খোঁজে চেতনার প্রকৃতি
নারী খুঁজুক দেবীপক্ষের সূচনায়।
অসীম দিগন্ত নীলাকাশ কাশ আর কিছু মুঠোঘাস
রাঘব বা রঘু বা খুদে খোঁজে অপার বিস্ময় সাম্য!
মৌনতা একঝাঁক
আমি খুদের মা আমার রক্তধারার নদীর বাঁকে
আজ মাতৃতন্ত্র প্রকৃতিতে ছড়িয়ে দিলাম।