• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় গৌতম বাড়ই

নারী রহস্যের তিন ও একটি মৃত্যু

সবাই ছুটছিল আর আমিও ছুটছিলাম ।পথে উল্টোমুখে একমাত্র জুলিকে পেলাম। ঐ আমাকে জিজ্ঞেস করল।
কী এত জোরে ছুটছিস? ধীরে গেলেও হবে!
কেন? জবাব পেলাম না।
আমিও ছুটছি, সবাই ছুটছিল দক্ষিণে কেল্লার মাঠের দিকে। কেল্লার মাঠ জুড়ে যে বিরাট বট গাছটি আছে তার সামনে দূর থেকে দেখলাম জটলা, বহু মানুষের ভিড়। ছুটতে ছুটতে এখন ভিড়ের কাছাকাছি। সবাই হাত তুলে– ঐ যে,
ঐ যে করছে।
আমি নয়নতারাকে খুঁজছিলাম। নয়নতারা বিছানায় নেই। ভোরের আলোয় বুঝলাম দরজা খোলা রেখে পৃথিবীর পথে বেরিয়ে পড়েছে।
কী দেখছ? ঐ যে নদীর পাড়ে বাঁশের-মাচা, ওখানে সটান শুয়ে পড়ো– আমার কাঁধে হাত রাখল রাত্রি। আমি সশরীরে জেগে উঠছিলাম। তারপর শুয়ে আছি এই বাঁশের মাচায়।
একজন কেউ ফিসফিসিয়ে বলছে– খুব একটা ভালো লোক ছিল না। খারাপই বলব। কেউ নেই বুঝি তিনকুলে এর? দুটো লটঘট ছিল। একটা বিয়ে- বৌ অথচ একলা ঘরে মরে পরে থাকল। শান্তি! শান্তি!
নয়নতারাই ভোরের আলোতে দুয়ার খুলে মৃত্যুর পথ দেখিয়েছিল। জুলির সাথে আচম্বিতে দেখা আর রাত্রির ভালোবাসার স্পর্শ পেল।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।