T3 || Valentine’s Day Special || সংখ্যায় গৌতম বাড়ই

কত আলো আর যত প্রেম সোনালী
কষ্ট পেলেও ওই কথা জমা আছে যে বুকে
যতই করি অর্চনা আরাধনায় যত সুখে
যদি কষ্ট করেও নষ্ট হয়ে যেতাম
ভালোবাসার দিনে তবে
বুকে জমা শীতলতা উষ্ণতা পাক রোদে
তোর সেই শালপিয়ানোর শাড়ি
প্রথম পড়া
আমি নাম দিয়েছিলাম বাহারী
সেই সাজসজ্জার আরশি
লুকিয়ে দেখেছি অনুপস্থিতিতে তোর মুখশ্রী
তুই অদৃশ্য হয়ে গেলি
সেই দোলেতে রঙ ভরিনি ফাঁকা ছিল পিচকিরি
জমি যেমন উঁচু নিচু ট্যারাব্যাকা খানা খন্দ
জল জঙ্গল ঝোপঝাড়
মন বলতে তাই তো বুঝি সাফসুতরো আর
ডোবানালা ভরাট করা
ফুলফোটানো সরণী সব বাড়ি
একটা মন তো কারোর নেই হাজার মনেই বাঁচা
যে মনটা নিয়ে চলে গেলি
জানি পথেই যেতে যেতে
তিন চারটা মন তৈরী হবে মুহূর্তে আর মুহূর্তে
কেমন ছিল সেই দিনগুলি
হোক গে ছোট্ট বর্ণনা
মেয়েরা জানতোই বিশ-বাইশের গন্ডী
বিয়ে হয়ে চলে যাবে সুদূর কোন শহরে
স্থিতু হবে যে জীবন
অথবা বর্ধিষ্ণু কোন গঞ্জ বা গ্রামে
‘তারপর তাহারা সুখে ঘর-সংসার করে!’
যৌবন সন্ধিতে তবু প্রেম এসে যেত
বিয়ে বিয়ে আবহের মধ্যে
ছেলেটি বিড়ি মুখে দিয়ে ক্লাবের মাঠে
নহেলে পে দহেলা থেকে খোট্টে সিক্কে
মেয়েটি ধীরে ধীরে ছাদনাতলায়
একটা নিষ্ঠুর বেহালা বেজে যেত ভেতর ভেতর
বিয়ের দিন বাজত বিসমিল্লাহির সানাই
তবু সে দাঁড়িয়ে থাকে একা
ছুঁয়ে থাকে বোকার মতন নিরুত্তাপ ভ্যালেন্টাইন
আজকে একটি দিন হয়েছে জব্বর
যত প্রেমিক যত শ্রেষ্ঠকিছু বোকার মতই মরে
গোলাপ ছোঁয়া মন বুকের ভাজে চিঠি
বইয়ের পাতাযর ৫৬ লুকিয়ে প্রেমপত্র
প্রতিশ্রুতি তোমার জন্য অনন্ত অপেক্ষা
অপেক্ষা তো দাঁড়িয়ে আছে
ভ্যালেন্টাইনস আসে প্রেমদিবসটি যায়
ওষ্ঠ যখন ভিজে আসে বৃষ্টিতে
শুকিয়ে আসে ঠোঁট স্মৃতির পথে হাঁটতে
তোকে আমি চেয়েছিলাম প্রেম ঠিক তোর মতন
তোর জন্যই এত যে আমার শৃঙ্গার
এত যে আমার গান কবিতা পড়া উপন্যাস
এত যে ছায়াছবি চল জল সিঁড়িটির ধার
নীল আকাশ ছুঁয়েই দেখবি
দেখ দেখ দেখ এই এখানে বুকের মাঝে
লজ্জা কী! ছোঁ ছুঁয়েই দেখ
ওখানে আছে আমার ভ্যালেন্টাইন।