কবিতায় স্বর্ণযুগে গোবিন্দ ব্যানার্জী (গুচ্ছ কবিতা)

এগারো
আবর্ত থেকে চৈতন্য
চৈতন্য থেকে অভিঘাত
এ সব পার হয়ে, তারপর?
বার
শিশু থেকে চিতা পর্যন্ত
কেই বা সোজাসুজি হেঁটে যেতে পারে
পুরোনো পাতা শুধু বেহিসেবী ইশারা শোনায়,
কথাগুলো মজে গেছে গলার উজানে।
তের
উচ্ছ্বাস, সুগন্ধ আর বাউল আকাশ
উঠোনের বিস্তৃত পশ্চাদপটে
অজস্র কদম্ব ফুটুক আজ।
চোদ্দ
নোয়াই-এর পাশে ব’সে আছি নিশ্চুপ
এক ঝাঁক জলজ মরাল
টানটান চলে যায় জলের চাদরে।
পনের
তোমার কবিতামাখা দুপুরগুলো
এখন মাটি জলের শামুক কাদায়
রক্তাক্ত উরু প্রান্তের মত!
ষোল
কেবল শুকনো কিছু স্মৃতি আর হাড়
বাতাসের কাঁধে অমানবিক উৎসর্গ ক’রে
পরিচিত স্বাদে পরাজিত তৃপ্তি-আপ্লুত।
সতের
প্রেমিকার ফাল্গুনী চোখে
ভীড় ক’রে আসে বসন্ত প্রদাহ
মূর্চ্ছনা মেখে দেবতা হয়ে যায় বখাটে তরুণ।
আঠার
বুকের আলম্বে
পান্না বৃষ্টি ঝরে
দিন রাত অসীম প্র পা ত –
উনিশ
কথা ছিল
নোয়াই-এর স্রোতে তুমিও ভাসবে আয়েসে
আর হাঁসের ঠোঁট থেকে ছুঁড়ে দেবে
একবিন্দু মুক্ত জল,
সত্যিই ছিল নাকি কথা!