মার্গে অনন্য সম্মান ডা: সত্যব্রত মজুমদার (সেরা)

অনন্য সৃষ্টি সাহিত্য পরিবার

পাক্ষিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ১৯
বিষয় – বারো মাসে তেরো পার্বণ / বাংলার পার্বণ

আবহ শুধুই উইৎসব পাইর্বণ

ওগো দূর্গা, এইলো যদি বাপের বাড়ি,দেইখতে ইবার অকাল মাইয়ের বোধন পূইজা,
মোদের গ্রাইমের পূইজার মেলার নাম যে খুবই সেইথা,
নদীর পারের কাইশের গুইচ্ছে দোল- দোলানি খেলা,
এমন দৃশ্য দেইখবে পরেই মনটা উড়ুক – হইবেকেই, জাগবে কত-ই বিরহ ব্যইথাই।
আইরে লক্ষী, টুসু পরইবে কইখনোই যদি পাইরতে পারো তুমি, আইসো আবার গ্রাইমের পরে , দেইখবে তবেই –
কত -ই ব্রত তাঁর-ই ছবি।
“মৌহুল “গাঁয়েতে বাইপের বাড়ি, পুরুলিয়া কাইছেই- বইতো দূর নয়তো বেইশি কি আর এমন- —-
সাত দিনেতেই চইলতে থাইকবেই পইরব – পার্বণ, পর্ব, আহা।
টুসুর গাইনে মিলন মেইলা ভুলার নয়তো গাইন,
সারা রাইতে জাইগে তবে মিইলবেই উনার কতন-ই-না জ্ঞান-গরিমার বাণী।
ওলো ঈলু, শুইনবে ইবার মোর বাইপের বাড়ির- কথাই,
, “আশনাই” গাঁয়ের পৌষ- পাইবনের মেইলা,
বাঁকুড়া জেইলায় পড়বেই বটেক, শালতোলা ব্লকে, আহা একি- কইখনো ভুলার নয়তো আর।
ওগো মিনু, শুইনবি তবেক ” মোইর শ্বশুরবাইড়ির পরব গাঁইথা।
কার্তিক ঠাইকুর ম- ইস্ত বড়ো , শহর ব-ইটে কাইটোয়ায়, লক্ষ মাইনুষ আইসে দেইখতে জৌলুস খানা দেইখতে লাগি, অইনেক পূইজোর গরব বটেই।
আহা শুনতেই কত লাইগেই ভালো,” মহুয়া,” জানিস বটে মোর দিদির শ্বশুরবাড়ি “কাঁপাসডাও্গা” মানভূম জেলা হবেক,
পৌষ পাবনের পর্ব আইসতেই হরেক মজাই ধরেক,
নূইতুন ধাইনের পিঠে, পুলি, খেইজুর গাইছের মধুর মিষ্টি রস,
বরাকর নদীর কালো জলে ভোইরের বেলা কাঁপন ধরাই শীতের সাইথে সাঁইতার কেটে স্নানের মজা,
সূর্যি যেই উঠলেই পরেই স্বস্তি কেইমন আইসে বটেই।
সারাদিনের পাবন উৎসব- হরেক, পিঠে পুলি,পাইয়েস খেয়েই পরে, সন্ধ্যা হলেই কতই মজাই হবেক,যাত্রা -পালা, পুইতুল নাচ, ই- পরবের মহৎ রেশ,সারা বৎসর থাইকবেই বেইশ।
মিনু, তুমি জাইনবেক বটে বঙ্গদেইশের ঘইরে, ঘ- ইরে, গাঁয়ে, নইগরে,
উৎসব পাইলন করতিই থাইকেন মানুষ জনেই সাইরা বছর ভইরেই, মইনে, প্রাইণে, আইকুল জাইনে, বৈশাখের নববর্ষেই শুরুই বটেক,হবেই।
জানোক তুমি বকুল পিসি, মামার বাইড়ি রঘুনাথপুরেই, –স্টেশন বটে জয়চন্ডী পাহাড়।
গ্রামের জাইগ্রত শ্যামা মায়ের সেইকি পূজাই বড়োক বটেই, বহুত নামজাদা পূজাই বটে দুইশো বইছর ধরেই ।
কিন্তু একটি কথাই চুইপি চুইপি বইলতেই হয়,
বন্ধ হইছেক বটে, মায়ের থানে বলি, আহা!
ইয়ার মাইনেই মানুষ এখন সভ্য বটে, অসূর বৃত্তি আর চইলবে না যে, কেইমন তরো অইমানুষ পুরুষ মানুষ গুলে।
অবলা প্রাণের মায়ার টান ভুইলবে যদি,এ কেইমন ধর্ম ই বটে, মানুষগুলোক কোরলেইক বটে বহুই বছর, শুইনলে পরেই বুকের ভিতর সন্ সনিয়ে, শিউরে ওঠে মায়ার তরেই, চোখ বাইয়ে জল যে আইসে কতই না, অবইলা জীবন তইরে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।