T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় দেবনাথ সুকান্ত
by
·
Published
· Updated
রেবা রেবা রেবা রেবা
নিজেরই ভিতর ধসে পড়ছে ঈশ্বর
নিজেরই ভিতর নিশ্চিহ্ন হতে হতে যে মুহূর্ত
একটা ছেদবিন্দু টানবে
কিছুটা মদ ঢেলে তাতে আগুন দিল অঘোর
তারপর কি মনে হয়
কি হতে পারে
সেই আগুন থেকে ছিটকে কি কোনো এপিটাফ উঠে আসবে
তাতে লেখা থাকবে অসফল একটা রাতেই সফলতম বিচ্ছেদ হচ্ছে
একটা বালি ঘড়ি ‘এরর’ দেখাচ্ছে মাঝ পথে
না আমি তেমন কোনও সম্ভাবনার কথা এখানে বলতে আসিনি
বরং রেবা রেবা রেবা করে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছি
রেবতী কি বুঝেছে কে জানে
আগেও দেখেছি সে তাকিয়ে থেকেছে হাঁ করে আর তার কাঁধ থেকে
সরে গেছে সালয়ারের কাপড়
আমি দেখছি দেখেও নির্লিপ্ত
তারপর তো সবই জানো কোথাকার জল কোথায় গড়াল
একটা বিছা দংশাল তার হাড়ে মজ্জায়
অথচ বুঝতে পারলাম না
গলায় দড়ি লাগিয়ে ঝুলে পড়ার আগে কেন সে
ব্রা প্যান্টি সব খুলে ফেলে ছিল মেঝেতে
যা শালি জ্বালা জুড়ালি তো
আমিও মদ মেরে যখন গাল দিচ্ছি
দেখি সেই মাঝেতে ঢেউ উঠেছে
দেয়ালসব আমার দিকে ঝুঁকে আসছে
প্রতিটি চোখে আমি ল্যাংটো
পালাও পালাও এখানে এক কুষ্ঠ রুগীর কাপড় পোড়ানো হচ্ছে
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আগুন জ্বলছে না ভালো করে
আধ পোড়া ছাইগুলোকে সাজিয়ে রাখতে হচ্ছে সো-কেসে
কেননা যেটুকু সারাংশ থেকে যাবে তা দিয়েই চাল কলার একটা পিণ্ড বানানো হবে
রেবতীর মেঝেতে ফেরে রাখা ম্যাসেজে সে পিণ্ড দান করে
পুণ্যবান হবে তার পরিত্যক্ত স্বামী
যদিও তারা বিয়ে করেছিল বলে কেউ দেখেনি
একটা রটনা ছড়িয়ে ছিল যার মূল্য ইনফিনিটি পাউন্ড
তাহলে এই সেই ঝলসে যাওয়া নদী
যার বুকে তুমি আবার ডুব দেবে
ফিরে দেখবে না কে রয়ে গেল মরা গাঙে তাকিয়ে নিঃসীম
আর ওই যে এতগুলো ছোট ছোট মূর্তি রেখেছ ভয়ে ভয়ে
তারাও কি নিজেরাই অছুত হয়ে বসে থাকবে
অসময় থেকে উঠে আসা ভাতকাপড়ে সংকোচে
রক্ত কালো অন্ধকার
আবরণে ঢাকা দেওয়া তার মুখ
প্রতীক্ষায় কি কেউ এভাবে রয়েছে
একটা অনন্ত প্রতীক্ষা