সাতে পাঁচে কবিতায় দুর্লভ সরকার

।। বিবর্তন ।।

বিবর্তন আসে
বারংবার আসে
আর আমার জানলার বাইরের ছিটকিনি তুলে
দরজায় টোকা মারে সাড়ে তিন বার ।
হ্যা, আমিই দরজা খুলি সাড়ে তিনবারের মাথায় ।
বিবর্তন আসে
আমার ঘরেই আসে
বসতে দিই প্লাস্টিকের চেয়ারটাতে ।
এবং বসে ।
হাত বাড়িয়ে তুলে নেয় আমার কবিতার খাতাটা ।
বলি, চা জল মিষ্টি দেব কিনা ।
বিবর্তন হাসে
মাথা নেড়ে
খাতাটা এগিয়ে দেয় ।
এখন যে কবিতাটা আমি লিখছি, তারই
ত্রয়োদশতম লাইনে কোনো এক ভৌগলিক স্থানে
আঙুল ঠেকিয়ে বলে,
এর মানে কী?
বিবর্তন ওঠে
এগিয়ে যায় দরজার দিকে
তারপর হাঁটা দেয় পশ্চিম মুখো রাস্তাটা ধরে ।
ঘরে আসি
হলোটা কী?
জানলা ঠেলতেই দেখি কে যেন কখন
বাইরের ছিটকিনি নামিয়ে দিয়ে গেছে ।
সন্ধ্যা হয়েছে
চাঁদ উঠেছে
শঙ্খও বাজছে ঘরে ঘরে
উলুধ্বনি ও ।
কবিতার খাতাটা তুলে নিলাম ।
এটার মানে কী হলো !
প্রতিটা পাতার ত্রয়োদশতম লাইন একই কেন !
বিবর্তন আসে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।