এই গুমগড়-নীরবতায়
মুঠোয় আনলিমিটেড বসন্তের হাওয়া থাকা সত্ত্বেও, এই গুমগড়-নীরবতায় দিগন্ত-রেখাটাও, যেন ছিল রুমাল, হয়ে গেল বেড়াল-টাইপের একটা বৈশাখের মরা-খাল
কুপি-লণ্ঠনের জলসায়, এক-ছটাক ছায়া দিতে না-শেখা তালগাছের

চেয়েও একটুকরো পোড়া- মাংসের গন্ধে, আপনি আর কপনিদের ঘচাং-ফু-পিকনিক জমে একেবারে টলোমলো – মাঝরাত
ঘরময় ছারপোকার মতো বাতের ব্যথা, জল-তেষ্টা, এসব ব্রেকফাস্ট থেকেই বুঝিয়ে দেয়, ক্যারামবোর্ডের এ পাশে কোনো বয়ফ্রেন্ড থাকে না, যার বুকপকেটে এক-কানাকড়ি-মেঘমল্লারও আর অবশিষ্ট আছে
এ ঘোর কলিতে, উত্তম-সুচিত্রা, দিলীপ-মধুবালা-মানচিত্রের পদপল্লবে একদানা রজকিনি খুঁজে পেলেও, বাজারদরের পঞ্চমুণ্ডি-আসনে বসে মাঝরাতে এরকম বিড়ি ফুঁকতে হতো না
একমাত্র মাঝরাত সাক্ষী, আমরা কীভাবে বহুরৈখিকতার দিকে এগিয়ে যাই অথবা, একটা প্রতিকূল আত্মহত্যার দিকে