সুশোভন পার্কের এক কোণায় এক বেঞ্চে বসেই ব্যাগ থেকে কোল্ডড্রিংসের বোতলটা বের করল।ছিপি খুলে ঢকঢক করে প্রায় অর্ধেক শেষ করে নামিয়ে রাখলো পাশেই, বেঞ্চের উপর। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সবে বিকেল চারটে।শর্মিলার তো সাড়ে চারটায় আসার কথা। হাতে আধ ঘণ্টা সময়।
কী করা যায় ?
আচ্ছা, ল্যাপটপ আছে তো ব্যাগের মধ্যে। চিন্তা কিসের !
একটু ফেসবুক করে নেওয়া যাক-সুশোভন মনে মনে ভাবলো আর যেমন ভাবনা তেমন কাজ। অল্পক্ষণের মধ্যেই ফেসবুকে ডুব।
বছর ছয়েকের একটি মেয়ে, পরনে শত ছিন্ন পোশাক, বাঁ হাত দিয়ে দৃঢ় ভাবে ধরে রেখেছে পিঠে ঝোলানো নোংরা থলিটি।পার্কের এখানে ওখানে ঘুরে ঘুরে ফাঁকা প্লাস্টিকের বোতল সংগ্রহ করছিল মেয়েটি।
ঘুরতে ঘুরতে মেয়েটি কখন যে তার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে, সে দিকে খেয়ালই নেই সুশোভন এর।
দাদা বাবু,ও দাদা বাবু–মেয়েটি সুশোভনকে উদ্দেশ্য করে ডাক দেয়।
ল্যাপ টপ থেকে চোখ না সরিয়েই সুশোভন উত্তর দেয়- হুম ! কী বলছিস্ ?