পৃথিবী যখন নির্বানধব, নিদ্রামগ্ন
খুব ইচ্ছে টান টান শুয়ে পড়ি
লম্বা টেবিলের ওপর
লাশকাটা ঘরে।
দু হাতে দুটো ধারালো ছুরি
চিরে ফেলি বুক থেকে উদর।
খুঁজি কোথায় অমৃত?
কোথায় ছিল বিষ?
কোন গোপনে ছিল ভালোবাসা?
কোন দৃশ্য ঘরে অপ্রেম?
ছোট্ট হাতুরির আঘাত
খুলে যায় মাথার দরজা
তন্ন তন্ন করে খুঁজি
কোন কোষ এনে ছিল শুভসংবাদ?
কোন কোষ ছিল দু:সংবাদের বাহক?
কোন স্নায়ুর নির্দেশে বেঁধে ছিলাম ঘর?
কোন স্নায়ুর পরামর্শে নিজকে ভেঙেছি
সন্তানের জন্ম কালে?
কোন স্নায়ু বলেছিল, জীবন এক গুপ্তধন
হীরে জহরত পান্না চূনি।
কোন স্নায়ুর বিশ্বাসঘাতকতায় জীবন শুখামাঠ
নিজের হাতের শিরাগুলি করি ফালা ফালা
কোন সময় কখন এই হাত মেখে ছিল রক্ত?
কখন কার নির্দেশে ধরে ছিল কলম?
খুব ইচ্ছে করে নিশুতি রাতে একা একা
নিজের হাতে করি নিজের ময়নাতদন্ত।