কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে দীপায়ন হোসেন

তুমিই কবিতা
কবিতা মনে হয় তোমাকেই
তোমার ভেতরেই সব বর্ণ, শব্দ ঢুকে গেছে
গ্রীষ্মের বৃষ্টি, পাহাড়, ঝরনা
আকাশে মেঘের জলতরঙ্গ
পূর্ণিমা চাঁদের
তুমি বাতাসের
ঝরনা জলের
তুমি সকাল-দুপুর-বিকেল-রাতের
তুমি পূর্ণিমা রাতের মিলন প্রাতের
তোমাকেই লিখি প্রকৃতির মিছিলে
তোমার শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যে বর্ণ, শব্দ লেগে আছে
তোমার কালো কেশে গ্রীবায় নাভীমূলে
তোমার স্তনাগ্রে
ভূজঙ্গীর ত্রিকোণে
শত হাজার বর্ণ, শব্দরা আসা যাওয়া করে
ঠোঁটে কোটি জলের ঢেউ টানে বহুদূর ভেসে যেতে যেতে
তোমার ভ্রূজোটের বাঁধ
বাকি শরীরের ভাঁজে ভাঁজে লেগে থাকে যে ঘ্রাণ
শিমুল পলাশ গোলাপ বেলি নাকি রক্তজবা
তুমি হয়তো ঝরনাও উপরে এখন
কবিদের উষ্ণ বর্ণ, শব্দ জলঢেউয়ের মতন ঠোঁটে মাখছো
নতুবা
পা ভেজাচ্ছো
কুয়াশায়
নয়তো নরম কাঁশফুলে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিচ্ছো বাতাসে
তোমাকে পাওয়া না পাওয়া সব কবিদের মনে অপূর্ণ তুমি
তোমাকে পূর্ণ করেছে কোন কবি?
তুমি সেই মহাসাগর
আমি তোমার মনের কোণে সব হারাবার ইচ্ছা নিয়ে বসত গড়েছি কবিদের সাথে।