কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে দীপায়ন হোসেন

মৃত্যু

নাভিটা খুঁজে পাওয়া যাবে না শশ্মানে
উজ্জাপিত জীবনের মৃত্যু ঘটবে সেদিন
মানুষ বলবে এমন তো রোজ হয়
জন্মের মুহূর্ত ছাড়া মানুষের পরিচয় অন্ধকার
চারপাশের ঘেঁষাঘেঁষি থাকা বস্তির ঘর
বেঁচে থাকা মনের ভেতর জ্বলা কুপির আলো
ইদানীং খুব মনখারাপ হয়
পূর্ণিমার আলো নেমে আসার গতি দেখে মনে পরে যায়
সময় তো চলে যাচ্ছে
মনের ঘরে বরফ লেগেছে শীতের আগেই
এইবার লাগবে বুঝি শীতের কাঁপন
কবিতার বর্ণ, শব্দদে আজকাল অন্যমনস্কতা
সাগরের দিকে চেয়ে আমি মানুষকে ভুলে যাই
এত বড় সাগর
কবিতার নোনা স্নানে শহরের মানুষ কাঁদে
মানুষ হারায়, মানুষের সাগরে
যখন ওপর থেকে শহরটার দিকে তাকাই
দেখি এলোমেলো চুলে খদ্দর’র চাদর জড়িয়ে রোজ হাঁটে মানুষের ভিড়ে
মানুষের ভালো থাকার খোঁজ
কবির কবিতার খোঁজ
তাকে আবার পিছিয়ে দেয় শেষ একটা কবিতার বর্ণ, শব্দে
মৃত্যু শব্দটা যতটাই না সত্যি
তার থেকেও সত্যি মৃত্যুর পর বেঁচে থাকা…
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!