• Uncategorized
  • 0

কাব্যক্রমে দেবারতি গুহ সামন্ত

১| সাজানো কথা

কথার বাগানে সাজানো আছে শব্দের ফুলঝুড়ি,
অক্ষরমালায় গাঁথা থাকুক রঙবেরঙের গল্পগুচ্ছর সারি।
অনবদ্য শব্দচয়নে যদি বা কখনো হয়ে যায় ভুল,
নিজগুনে ক্ষমা কোরো হে প্রিয় পাঠক,শুধরে দিও ভুল।
গদ‍্য পদ‍্যের মাধ‍্যমেই যে মনের ভাবাবেগের ঘটে মুক্তি,
বাস্তবের মাঝে থাকে অলীক কল্পনার অলিখিত ছোঁয়া,তাই সর্বক্ষণ খুঁজতে যেও নাকো যুক্তি।

২| অজানা আবেগ

জানি না কোন আবেগে ভেসে চলেছি আমি,
এর কি আদৌ আছে কোন শেষ?
ঠোঁটের কোনে ঝোলানো এক টুকরো হাসিতে,
হাজার বছরের ভালোবাসার ইঙ্গিত।
কোথায়,কোন এক অজানা ঠিকানায় পৌঁছেছি,
যেখানে শুধুই শোনা যায় হৃদয়ের ছলাত্ ছলাত্ শব্দ।
সীমাহীন প্রেমের নৌকা ভিড়িয়েছি আমি,
সুদূর অচিনপুরে প্রেমিকের জীবনদরিয়ায়।
মনের জমি খুঁড়েই চলেছি নিজের অজান্তে,
জানি না কবে ঘটবে এ অপেক্ষার অবসান।
যদি কোনদিন না পাই দেখা,তবে,
চিরবিদায়ের আগে রক্তবন‍্যায় লিখে যাব অমর প্রেমের ইতিহাস।

৩| মন্দবাসা

মনে জমেছে আজ অভিমানের কালো মেঘ,
সরে সরে যাচ্ছে দূরে মনকেমনের শুকনো আবেগ।
বোঝাতে চেয়েও পারিনি বোঝাতে একাকী মনের ব‍্যাথা,
হয়তো বা নিজেও বুঝিনি প্রিয়তমের গোপন কথা।
কাছে যেতেও গিয়েও বারে বারে খেয়েছি ধাক্কা,
অদৃশ‍্য প্রাচীরে নিজেই নিজের সাথে খেলেছি এক্কা দোক্কা।
অনবরত চোখের জল বালিশ ভিজিয়েছে একসময়,
এখন শুষ্ক মরুভূমির মত,নতুন অনুভূতির স্পর্শ না পায়।
জীবনটা যেন সাপলুডো খেলা,কখন কি হবে তা সবার অজানা,
কখনো উচ্চশিখরে,কখনো বা পপাত ধরনীতল,শুধু চোখের জল ফেলা মানা।
কেন এমন হল এর নেই তো কোন নির্দিষ্ট উত্তর,
নিজেকে শুধুই দাও বিলিয়ে,বিনিময়ে চেও না কোন প্রত‍্যুত্তর।

৪| গরমের রসিকতা

চিড়বিড়ে গরমে হাসফাঁস,
এখন কি করি উপায়?
একটুখানি পরিশ্রমেই,
সারা শরীরে ঘাম বয়।
মনটা কেবল আনচান,
একটু ঠান্ডার খোঁজে।
সারাক্ষণ ই মনে হয়,
দাঁড়িয়ে থাকি ফ্রিজে।
ঘামাচির উৎপাতে,
প্রচন্ড রকম নাজেহাল,
চড়া রোদের প্রকোপে
গলায় ঢালি বরফজল।
সূর্যের তাপে বাড়ছে দিন,
সঙ্গে বইছে গরম হাওয়া
মাথায় লু লাগলে পরে,
সানস্ট্রোক করছে ধাওয়া।
গরম থেকে বাঁচতে গেলে,
মানতে হবে কিছু নিয়ম।
খেতে হবে হাল্কা খাবার,
জাঙ্ক ফুডে আ‍্যসিডিটি বদহজম।
প্রয়োজন মত ফলের রস,
সাথে পরিমানমত স‍্যালাড।
টক দইয়ে জমবে দারুন,
ঘনঘন কোল্ডড্রিংকস কিন্তু ভেরি ব‍্যাড।
চোখে রোদচশমা,মাথায় টুপি,
হাতে পায়ে মাখা চাই সানস্ক্রিন,
রিফ্রেশিং মেজাজের জন‍্যে মাস্ট,
ঠান্ড ঠান্ডা কুল কুল আইসক্রিম।
নিত‍্যকার সঙ্গী জলের বোতল,
কখনও যেন ভুল হয় না নিতে।
যত পার খেয়ে যাও জল,
যদি গরমে না চাও প্রাণ দিতে।
রঙবেরঙের ছাতার তলায়,
জমিয়ে আড্ডা হয়ে যাক।
একটু শীতল ছায়ার নীচে,
সামার ভ‍্যাকেশন মজার পূর্ণতা পাক।

৫| লেখকের শব্দজব্দ

শব্দস্রোতের জলতরঙ্গে অনুভূতিগুলো বেড়াচ্ছিল ভেসে,
আর একে অপরকে করছিল আলিঙ্গন,হেসে হেসে।
সুখ দুঃখের মেলবন্ধনে অজানা আকুতিরা পড়ছিল ধরা,
কে জানে কিসের টানে পরিপূর্ণ ছিল মোহ মায়ার ঘড়া।
তালে তালে ছন্দেরা মেলেছিল রঙিন ডানা,
কোথাও তাদের হারিয়ে যাওয়ার ছিল না কোন মানা।
অফুরান অক্ষর ভান্ডারে মাঝে মধ‍্যে পড়ছিল টান,
নব নব ভাবনাদের মুক্তছন্দে হচ্ছিল মিল মগজাস্ত্রে দিয়ে শাণ।
ধূসর ক‍্যানভাসে একটার পর একটা আঁচড়ে ফুটে উঠছিল নানা দৃশ‍্য,
কখনো ঘোর বাস্তব,কখনো বা অলীক কল্পনা,ছিল না আসলের সঙ্গে কোন সাদৃশ্য।
পরিযায়ী মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে শুধুই ছিল স্বাধীনতার আস্বাদ,
আবেগঘন মুহুর্তে শুধুই ছিল মিলনের আকাঙ্খা,ছেঁড়াখোঁড়া দুঃখগুলো পড়ছিল বাদ।
এর থেকেই একের পর একের রচিত হয় দারুন সুখী সুখী পদ‍্য,
যদি কখনো হয় ছন্দের অমিল,জায়গা নিয়ে নেয় দুর্ধর্ষ সব গদ‍্য।
যেগুলো পড়ে পাঠকের জ্ঞানভান্ডারে জমা হয় নতুন শব্দ,
শব্দকোষের রক্তকনিকায় বেঁধে যায় লড়াই,আর লেখক হন জব্দ।
কোনটা ছেড়ে লিখবেন কোনটা,অনুগল্প না গদ‍্যকবিতা,
পঞ্চবান আর ষড়ভূজে শুরু হয়ে যায় নিদারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
আকাশ কুসুম কল্পনার আঁকিবুকিতে সাদা কাগজ হয়ে ওঠে সিক্ত,
অতিরঞ্জিত অনুপ্রাসে কখনো বা সাদামাটা লেখারাও অলংকৃত।
সবার ওপরে রহস‍্য রোমাঞ্চকর লেখা,সর্বপ্রথমে যার স্থান,
ভৌতিক উপন‍্যাসের গাছমছমে পরিবেশে অসীম সাহসীও ভয় পান।
শব্দের খেলায় নতুন সৃষ্টিতে তাইতো মেতে ওঠেন এক লেখক,
প্রার্থনা করি,আবেগ মুক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ স্থানে সব লেখক তার যোগ‍্য সম্মান পাক।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।