কবিতায় বলরুমে দেবারতি গুহ সামন্ত

হ‍্যাপি টির্চাস ডে

চোখ দুটো জ্বলে যাচ্ছে আমার,
সেই ছোটবেলার কথা বারবার পড়ছে মনে।
শিক্ষক দিবস আসার আগে থেকেই অদ্ভুত উত্তেজনা,
সকল শিক্ষকদের বরণ করা হবে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে।

রঙিন রিবন,কাগজের শিকল,গাল ফোলানো বেলুন,
এসব দিয়েই সাজানো হত ক্লাসরুম।
ব্ল‍্যাকবোর্ডে চক দিয়ে কায়দা করে লেখা,”হ‍্যাপি টিচার্স ডে,
টিচার্স স্টুডেন্ট রিলেশনশিপ মানত না কোন ব‍্যবধান।

সিনিয়র দাদা দিদিরা ওই একটা দিনের জন‍্যে
হয়ে যেত জুনিয়ারদের টিচার,
কেউ যদি বাইচান্স শুনত না ওদের কথা
তাহলেই পিঠে পড়ত খুনসুটির মার।

অঢেল খানাপিনায় শেষ হত শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন,
গম্ভীর টিচারদের মুখেও সেদিন লেগে থাকত একচিলতে হাসি।
সেদিন আর ভয় পেয়ে নয়,ভালোবেসে স্টুডেন্টরা আসত কাছে,
টিচারও উপুর করে দিত আশীর্বাদের ঝুলি রাশি রাশি।

বহুদিন হল ক্লাসরুমগুলো কাঁদছে স্টুডেন্টদের অভাবে,
অনলাইনেই সারা হচ্ছে টিচার স্টুডেন্টের সব ক্লাস।
জুম,গুগুল মিট,ওয়‍্যাটস এ‍্যাপ চ‍্যাটএর স‍্যোশাল মিডিয়ায়,
চলবে হ‍্যাপি টিচার্স ডের ইমোজির উল্লাস।

সবশেষে জানাই সেই মানুষটাকে শুভ জন্মদিন,
যার কারনে আজকের এই শিক্ষস দিবস করা হয় পালন।
অসাধারণ জ্ঞানের কারণে ভূষিত হয়েছিলেন অসংখ্য উপাধিতে,
শতকোটি প্রণাম জানাই সেই মানুষটাকে,শ্রী সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।