Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে স্বপঞ্জয় চৌধুরী (পর্ব - ৩)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে স্বপঞ্জয় চৌধুরী (পর্ব - ৩)

সায়লব গোয়েন্দা সিরিজের গল্প

এথলেটসের ডায়েরি ফরেনসিক ল্যাবে কাজ করছে ডাঃ ইব্রাহিম ইবু। ডাঃ ইবুর কাছে গিয়ে সায়লব চুপিচুপি কী যেন দেখছেন। -আচ্ছা ডাঃ ইবু এই আধাখাওয়া আপেলের গায়ে একটু হালকা রক্ত দেখতে পাচ্ছেন কী? -হুম। ডিএনএ টেস্টে পাঠিয়েছিলাম। একটা মেয়ের রক্ত- হয়তো তার দাঁতের সেন্সিটিভিটির সমস্যা আছে এবং নিহত তরুণের এনজাইম পাওয়া গেছে। তবে আরো একটা বিষয় সন্দেহ করছি যা আরেকটি টেস্ট করলে পরিস্কার হওয়া যাবে। - নম্রতা ম্যাগনিফাইং গ্লাভস গিয়ে হাতের লেখাগুলোকে ভালোভাবে দেখছিল। ডায়েরিটার হদিস পাওয়া গেলে অনেক রহস্যের জট খুলতো। - ভূষণ বাবু ও রাচী কাল আপনারা তরুণের ভার্সিটিতে যাবেন। খুব গভীরভাবে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করবেন। - বস আমার পুষ আপ করার যন্ত্রটা নিয়ে যাব কী? যদি ইনভেস্টিগেশন করতে গিয়ে আমার জিম এন্ড ডিম খাওয়ার সময় পার হয়ে যায় তাই কিছু সেদ্ধ ডিম আর ছোট খাট একটা ডাম্বেল নিয়ে যেতে চাই। - ওহ! ভূষণ বাবু বি সিরিয়াস। - ইয়েস স্যার, আই আম অলওয়েস সিরিয়াস বস। পরদিন সকালে ভূষণ শেঠ আর রাচী সিনহা ভূষণের বঙ্গরত্ম বিশ^বিদ্যালয়ে গেলেন। সেখানে তারা অধ্যক্ষের রুমে তরুণ সম্পর্কে নানাবিধ প্রশ্ন করলেন। শেষ কবে তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করেছেন সেই খাতার রেজিস্ট্রার দেখলেন। তরুণ সর্বশেষ ৭ ফেব্রুয়ারিতে ক্লাস করেছিলেন। ডায়েরির ছেড়া পাতাতেও ৭ ফেব্রুয়ারি লেখা। অর্থাৎ এই তারিখে নিশ্চয়ই এমন কিছু ঘটেছিল যার কারণে তরুণ আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছিল। -আমরা কি তরুণের ক্লাসরুমটি ভিজিট করতে পারি? - অবশ্যই। ভূষণ বাবু ক্লাসে গেলেন সাথে আছে অধ্যক্ষ। সবাই উঠে দাঁড়ালেন। - উনারা প্রাইভেট ডিটেকটিভ। তোমাদের সাথে কিছু কথা বলবেন। - আচ্ছা তোমরা কী বলতে পারো তরুণ কোথায় বসতো একজন ছাত্র আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ওই যে কর্ণারের খালি ডেস্কটাতে। ওখানে ও সবসময় বসতো। আমরা ওর সম্মানার্থে ওখানে কাউকে বসতে দেইনা। তিনদিন হলো তরুণ নেই। যেন মনে হচ্ছে তিন বছর ওকে দেখিনা। অন্য একজন ছাত্র হুহু করে কেঁদে উঠলো। ভূষণ বাবু এই অতি উৎসাহী ও অতি দরদী ছাত্রটিকে একটু সন্দেহ হলো। -সরি তোমাদের ডিসটার্ব করলাম। আচ্ছা আমরা আজকে আসছি তবে। ভূষণ বাবু সায়লবকে ফোন দিলেন। সায়লব আসলেন তরুণের ভার্সিটিতে। সায়লব, রাচী, ভূষণ আর নম্রতা করিডোরে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা ক্যাম্পাসের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। কয়েকজন ছাত্র দৌড় প্রতিযোগিতা করছেন। একজন দৌড়ে ফার্স্ট হলেন। আরেকজন হাই জাম্প দিচ্ছেন। - মিঃ ভূষণ চলুন আজ একটু খেলাধূলা করি। - ইয়েস বস হোয়াই নট। আমি কলেজ লাইফে হাই জাম্প চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। রেসেও ছিলাম সেরা। আমার ভেতরে সেই বিশ বছরের তরুণ ছেলেটি জেগে উঠেছে। ভূষণ বাবু মাঠে গিয়ে ছেলেদের সাথে হট্টগোল বাধিয়ে দিলেন। পাঞ্জার চ্যালেঞ্জ দিলেন। তোমাদের ভেতর যে আমাকে পাঞ্জায় হারাতে পারবে তার জন্য রয়েছে স্পেশাল গিফট। রাচী কানে কানে বলে- আপনি গিফট পাবেন কোথায়। - আরে মিস রাচি, আমি হারবোও না গিফটও দেবনা। ভার্সিটির পাশেই ছিল একটা বাগান। বাগানের ভেতর পাতা বাহার গাছের ভেতর থেকে কী যেন একটা বই সদৃশ কিছু দেখা যাচ্ছে । গাছের পাতা সরানো মাত্র নম্রতার চোখ দুটো চকচক করে ওঠে। -স্যার এই দেখুন ডায়েরি। -কোন স্টুডেন্ট দেখার আগে ডায়েরিটা ব্যাগে ঢুকান। একজন আয়া ঘটনাটি দেখে দৌড়ে কাকে যেন খবর দিতে যাচ্ছেন। -নম্রতা, ফলো হার। আয়াটি বাথরুমে গিয়ে শ্যামল নামের স্টুডেন্টটিকে কল দিচ্ছেন। শ্যামল ভূষণের সাথে পাঞ্জা লড়ায় ব্যস্ত। নম্রতাকে দেখে আয়াটি চমকে উঠলো।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register