Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে স্বপঞ্জয় চৌধুরী (পর্ব - ১)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে স্বপঞ্জয় চৌধুরী (পর্ব - ১)

সায়লব গোয়েন্দা সিরিজের গল্প

এথলেটসের ডায়েরি প্রতি ভোরে সায়লব খোলা মাঠটায় জগিং শেষে হাঁটু মুড়ে মেডিটেশনে বসেন। তার চোখের সামনে দিয়ে উড়ে যাচ্ছে একদল মেঘ। মেঘের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে একটি সাদা পাখির ঠোট। মেঘ সরে গেলে পাখিটিও অদৃশ্য হয়ে যায়। এ যেন এক অচিন পাখি। মাঠ ঘেঁষেই একটা পাহাড়ের মতো টিলা। টিলার উপরেই ডিটেকটিভ সায়লবের চেম্বার। প্রতিদিন নানা ধরণের মানুষ আসে তার চেম্বারে। একেক জনের একেক সমস্যা। মাঝে মাঝে সায়লব নিজ দায়িত্বেও রহস্যের জট খুলেন। যে ঘটনাতে তিনি রহস্যের গন্ধ পান সেখানেই ছুটে যান তার টিমের সদস্য রাচী সিনহা, ভূষণ শেঠ আর নম্রতা পালকে নিয়ে। রাচী সিনহা চোখে একটু কম দেখেন তবে তার শ্রবণ শক্তি খুব প্রখর; ভূষণ শেঠ পালোয়ান টাইপের প্রতিদিন আটটা ডিম খান। সাড়ে তিনশো বুক ডাউন দেন। তার হাত থেকে অপরাধী পালিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য কাজ আর ন¤্রতা পালকে ডায়েরি লিখতে ও পড়তে ভালোবাসেন। তার সখ হচ্ছে নানা মানুষের ডায়েরি পড়া, ভ্রমণ আর রহস্য মুভি দেখা। আর ডিটেকটিভ সায়লব মাঝারি গড়নের লোক, চুলগুলো বাদামি, চোখগুলো নীলবর্ণের তার ভেতরে একটা ভীনদেশী-ভীনদেশী ভাব আছে। নম্রতা উঁচু টিলা থেকে দৌড়ে দৌড়ে এলেন সায়লবের কাছে। স্যার- আপনাকে চেম্বারে না পেয়ে এখানে ছুটে এলাম। আমার বান্ধবীর ভাই এথলেট তরুণ আত্মহত্যা করেছে। সায়লব ধ্যান ভেঙে চোখ মেলেন। তারপর মাঠের পাশের এক বেঞ্চি থেকে তার হলুদ রঙের টাওয়াল নিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করেন- কোন তরুণ? যে এশিয়ান হাই জাম্পে গোল্ড মেডেল জিতেছিল। নম্রতা মাথা নেড়ে বললো-হ্যাঁ, ভাইয়াটা খুবই ভালো ছিল। যখনই বাসায় যেতাম তার মুখে একটা হাসি লেগে থাকতো সবসময়। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে তার চাল-চলনে একটা পরিবর্তন আসে। তার পরিবারও এর কারণ উদ্ঘাটন করতে পারেনি। সকালের নিউজের হেড লাইনে এসেছে দেখুন। খবরের কাগজটি সায়লবের দিকে বাড়িয়ে দেয় নম্রতা । সায়লবকে খানিকটা চিন্তিত দেখায়। সে খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে পত্রিকায় ছাপানো ছবিটি দেখছেন। এর ভেতরেই জগিং করতে করতে এদিকেই এগিয়ে আসেন ভূষণ শেষ। একটু স্মিত হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করে- বসের মুখে চিন্তার রেখা। হুম- একটু চিন্তাতো হচ্ছেই। পত্রিকা থেকে চোখ সরাতে সরাতে বলেন সায়লব। নম্রতা ফোন বেজে উঠে। তরুণের বাবা বরুণ সাহার ফোন। ফোনের ওই সাইড থেকে ভেসে শব্দ ভেসে আসে। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। তোমরা আমার ছেলের হত্যাকারীকে খুঁজে বের করো মা। - আপনি কোন চিন্তা করবেন না আঙ্কেল , আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। আমাদের বস সায়লবের সাথে কথা বলুন। জ্বি, আদাব, প্রাইভেট ডিটেকটিভ রবার্ট সায়লব বলছি। তরুণের বাবার কণ্ঠে কান্না। সে নিজেকে সামলাতে পারছেন না। তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। - জ্বি হ্যাঁ আমরা আজ বিকেলেই আপনার বাড়িতে আসছি।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register