Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলায় স্বপঞ্জয় চৌধুরী (অন্তিম)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলায় স্বপঞ্জয় চৌধুরী (অন্তিম)

চন্দ্রক্ষুধা

আট এরপর অনেকদিন কেটে যায়। আসলাম মাঝে মাঝে পুষ্পকে কলেজে এগিয়ে দিয়ে আসে। বখাটেদের আর গলিতে দেখা যায় না। একদিন হঠাৎ সেই বখাটে দুটো আবার হাজির হন। কলেজ থেকে পুষ্পের ফিরতে ফিরতে আজ সন্ধ্যা হয়ে যায়। বখাটে দুটো পুষ্পের পথ অবরোধ করে দাঁড়ায়। বখাটে-১ সুন্দরী এত দেমাগ তোমার। বখাটে-২ তোমার ওই রুপের দেমাগ আইজ ধুলায় মিশাইয়া দিমু। তোমারে আইজ ঝলছাইয়া দিমু। বখাটে এক পকেট থেকে এসিডের শিশি বের করে। পুষ্প কোন কথা বলে না। সে মুখের সামনে থেকে নেকাবটা খুলে দেয়। বখাটেরা শিউরে ওঠে। পুষ্প চিৎকার করে বলে হারামির বাচ্চারা কয়বার পোড়াবি আমারে, নে পোড়া, জ্বালা, এইরুপ দেখনের জন্য আমার পিছন পিছন ঘুরস নে দেখ প্রাণ ভইরা দেখ। বখাটে দুটো মাথা নিঁচু করে চলে যায়। আসলাম পুষ্পের চিৎকার শুনে বাড়ি থেকে বের হয়। সে পুষ্পের বিভৎস চেহারা দেখে শিউরে ওঠে। পুষ্প হেসে ওঠে। দেখো আসলাম দেখো তোমার পুষ্পরে দেখো। তোমার চন্দ্রক্ষুধা মিটাও। এইরুপ দেখনের জন্যইতো তুমি ঘুর ঘুর করছো। তোমার ক্ষুধা মিটছেতো আসলাম। আসলাম কোন কথা বলে না। পুষ্প ঝড়ের বেগে চলে যেতে চায়। কিন্তু আসলাম তার হাত সামনে বাড়িয়ে পথ আগলে দাঁড়ায়। খাড়াও আমারে তুমি চেনতে ভুল করছো, আমি তোমার রুপ না দেইখাই ভালোবাসছি, আমার কল্পনায় তুমি আজীবনই চন্দ্র হইয়া থাকবা, তুমি সারা জীবন নেকাব পইড়াই থাইকো, আমি কোনদিন তোমার ওই রুপ দেখতে চাইমুনা, আমার মনের মধ্যে তোমার যেই ছবি আঁকা আছে সেই ছবি তুমি কোনদিনও নষ্ট করে ফেলনা। আসলাম পুষ্পকে জড়িয়ে ধরে। পুষ্পের চোখ দিয়ে জলের ফোটা গড়িয়ে পড়ে। গলির মোড়ের ভাঙা বাড়িটার ফাঁক দিয়ে একটা চাঁদ উঁকি মারছে। আসলাম চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলে আজকের তোন আর আমার চন্দ্রক্ষুধা নাই। পুষ্প বলে কেন ক্ষুধা মিটে গেল নাকি। আসলাম পুষ্পের চুলে হাত বুলিয়ে বলে চাঁদতো আমার বুকের মধ্যে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register