- 3
- 0
চৈত্রের নিস্তদ্ধ দুপুরে বাড়ির গেটের তালাটা ঝনঝনিয়ে ওঠে "... মহাদেএএএব" বলে ডেকে ওঠা সেই পরিচিত স্বরের সাথে। মা তাড়াতাড়ি থালায় ভরে চাল, আলু, একটা কয়েন সাজিয়ে নেয়। ছোট্ট একটা শিশিতে একটু সর্ষের তেলও রাখে। বাবা তারকনাথের ব্রতধারীকে এই 'সিধে' টুকু দিয়ে পূণ্য করার সুযোগটুকু হাতছাড়া করবে না কিছুতেই। হাসিমুখে বেরিয়ে এসে মা থালাটা রাখে সাদা মার্কিনপরা সেই মহাদেবের পায়ের কাছে। জীবনপথের চৈত্রের নিঃসঙ্গ দগ্ধ দুপুরে আজ বুঝেছি, "চরণে সেবা" হল শক্তির পদপ্রান্তে আত্মসমর্পণ। সংসারের যাত্রাপালায় নানান ভাবে সারাজীবন সকলেই"চরণের সেবা" করে চলেছি। যে মেয়েটা শ্লোগান ভালোবেসে প্রেমের কবিতা লেখার চেষ্টা করে জীবন্ত রক্তাক্ত দেহে পুড়ে ছাই হয়ে গেল, সেও তো চরণের সেবাতেই লেগেছিল।
0 Comments.