Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে অমল বিশ্বাস (গুচ্ছ কবিতা)

maro news
কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে অমল বিশ্বাস (গুচ্ছ কবিতা)

১| ভেল্কিবাজির সৃষ্টি

লুকাবে কোথায়! তোমার চৌহদ্দিতে এখন অগণিত অক্টোপাস তোমাকে পিষ্ট করবে মোক্ষম কামনায়। নাটকের শেষ পরিণতির একফোঁটা ভোজ্যতেল দ্বিপ্রহরে গনগনে মাঠের রোদে বসে সাদাভাত-লঙ্কা-লবন আর পেঁয়াজ মাখিয়ে এঁটো করবে তোমার দেবলোকের ভৌতিক অস্তিত্ব গিলে খাবে শিবের মুকুট। মুক্ত-মানুষের ইস্তেহারে তোমার নাটকীয় পর্দায় ত্রি-লিঙ্গের চুক্তি হবে, একজন না-পুরুষ; না-স্ত্রীর অর্থযোগ কেনো নিরর্থক তোমার ভেল্কিবাজির সৃষ্টিতে! উত্তর দাও হে ঈশ্বর। পালাবে কোথায়! প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় লিঙ্গের শ্লোগান-মিছিলে শুনে নাও তোমার মৃত্যুর শেষ ঘন্টা।

২| কুকুরের শোক

দরোজা খুলতে কুকুরের শক্ত পায়ের ছাপ দেখলাম, নাইটগার্ডকে দেখছিনা। রাস্তায় পড়ে আছে লাঠিতে পেঁচানো একটি সালোয়ার রাস্তা মিশেছে থানার দরোজায়, বস্তায় মোড়া লাশ গুঁতোচ্ছে দারোগা হাতে টাকার বাণ্ডিল। পাড়ার কুকুরটি শার্ট ধরে টানতে সম্বিত ফিরে দেখলাম নাইটগার্ডের সাথে শাকিল মেম্বর থানা থেকে বেরুচ্ছে।

৩| দানব ঘিলুর মাথা ফাটাও

ঘামের জলে যেটুক লবন সেটুক খাও, ওদের মাটির কবরখানায় জলদি যাও। দেশটি নেতার ধর্ম ক্রেতার জন্মে তুমি শুকনো দুধের খুলছো খিল, লাশটি মায়ের মামলা দায়ের শূন্য ভিটেয় উড়ছে রাজার ঘৃণ্য চিল। বাঁচতে চাইলে দুস্থরক্তে শ্লোগান দাও, শক্ত মুগুরে দানব ঘিলুর মাথা ফাটাও।

৪| শুধু দাতা

লগ্ন তিথির সাথে কাঁপা কাঁপা দিঘীর অন্তরে কৈশোরের হালকা গোঁফের জমানো তৃষ্ণা কৌতুহলের সাথে বুক-বুক ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা ভেজাভেজা কাচি ঠোঁটে জলের প্রলেপ কোমর কোমর ধরে রাস্তায় চলা অসঙ্গতির কিছু ছিলো না তখন, শুধু ছেলে ছেলে খেলা কখনোবা তীব্র শীতল হলে শুরু হতো নিভু চোখে মেয়ে মেয়ে খেলা। যৌবন মধ্যাহ্ন গানে সমস্ত সম্পদ দিয়ে দেবো ছেলে-মেয়ে খেলা দিয়ে শুরু হবে পরিপক্ক শোভন সোহাগ। এখন দূপুর রাত ঈশ্বরের ঘরে আর্তনাদ ছেড়ে দিতে হবে বরপুত্র অথবা বরকন্যা এক সৃষ্টি নির্মানে, আমি পিতা হবো, সমস্ত সম্পদ দিয়ে তোমার নতুন নাম অনাগত সন্তানের প্রিয়তম মা। আমার গোপন দান গোপনেই থাক কারণ সে তৃষ্ণা শুধু মুক্ত করা যৌবন দ্বার আমি শুধু দাতা তার রৌদ্রের তেজ তুমি মাতা, মাতৃভূমি সমগ্র বিশ্বে তুমি তার পরিচয়।

৫| ভালোবাসার ভুল পথ

যখন তোমার মৃতদেহ নিজের ঘর ছেড়ে বাইরের ঘরে জায়গা পেলো আর একটু পরে পুরোপুরি পরের ঘরে সন্তান বায়না দিলো খাটিয়ার যতো দ্রুত লাশ সরিয়ে চোখের জল মোছা যায় মঙ্গল, তোমার খাটটা বেশ সুন্দর। সবাই বুদবুদ হুড়োহুড়ি করে আসা, অনিচ্ছায় যাওয়া মাঝখানে বুদবুদ ফেটে এক বিন্দু জল থাকে না বাতাস, মিলে যায়, বয়ে যায়, হারিয়ে যায় তোমার জীবনের ডিকশনারি বড্ড সেকেলে শব্দগুলো অপভ্রংশ হয়ে যায় তোমার মতো। নিয়ম ভঙ্গের পালাটা বেশ অযাচিত আর একটা অশ্রদ্ধার শ্রাদ্ধ মনে হয় সম্পত্তি নাশ কিছু মানুষকে অযথা ভুরিভোজে আপ্পায়িত করা শিয়াল কুকুরের মতো গোগ্রাসে গিলে চলে যায় কিচ্ছু বলে না, স্বর্গ বা নরক জেনেই বা কি লাভ। যখন তোমার মৃতদেহ বড়ো রাস্তা জড়ো করে চলতে থাকে এর ওর কাঁধে ছেলেরা শোকাহত, মেয়েদের আসতে নেই কেউ চায় না তারা ঘাড়ে তুলুক ( তারাও চায় না) এভাবেই শ্মশানচারী হয়ে যাও খাটটা দখল হয়ে যায় ভালোবাসার ভুলপথে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register