Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে নিতাই চন্দ্র দাস

maro news
কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে নিতাই চন্দ্র দাস

পরকীয়া

কাঠুরিয়ার স্ত্রী রূপবতী যৌবন রসবতী কাজে অতি নিপুনা। গৃহের সকল কর্ম পালন করে স্ত্রী ধর্ম কথার দিক দিয়ে অধুনা।। আছে ছোট সন্তান স্তন্য করায় পান সন্তানের হাত দুটি বাঁধি। সবাই মনে ভাবে এমন দেখেছে কবে এমন সততা আজ অবধি।। কথার মধুর রসে স্বামীকে রাখে বশে হাসি দিয়ে করে খুশি। মনেতে চিন্তা করে কতো ভালবাসে মোরে আবেগে অন্তর উঠে ভাসি।। কাঠ কাটে বনে ফিরে দিনের অবসানে দেখে দু’এক জন স্ত্রীর পাশে। গাহিছে পরান খুলি হাসির লহর তুলি টিপ্পনী কাটিছে রসে।। স্বামীকে দেখে ত্বরা করে স্ত্রী ভাত দেয় বেড়ে বসে নীরবে সাক্ষাতে। দেয় পাখাতে বাতাস থাকেনা সন্দেহের অবকাশ কাঠুরিয়ার মনে যাহা ভাসে।। একদিন কাঠুরিয়া বলে স্ত্রীকে ডেকে নিরলে আজ বাড়ি ফিরিবো না রাতে। অতি সাবধানে থেকো বাড়ির চারপাশ দেখো অসুবিধা না হয় যাতে।। স্ত্রী বলে গদগদ স্বরে চিন্তায় থেকোনা ডরে নিরাপদে যাও কাজে। আমার কথা ভেবে চিন্তায় নাহি রবে কাজেতে থেকো মজে।। কাঠুরিয়া যায় চলে দুরে কাজের অঞ্চলে স্ত্রীকে সব কিছু সঁপি। মন থাকে পড়ে সন্তানের চিন্তা করে অন্তরে বেদনা চাপি।। যায় যে কাজের তরে আগেই ফেলে সেরে রওনা দেয় বাড়ির চিন্তাতে। আঁকাবাঁকা পথ বয়ে ছুটে চলে ধেঁয়ে বাড়ি ফিরে গভীর রাতে।। শুনে ঘরেতে গুনগুন কাঁকনের টুনটুন উঁকি দেয় বেড়ার ফাঁকে। দেখে স্ত্রীর উভয় পাশে দুই নাগর বসে আলাপে হাতে হাত রেখে।। কাঠুরিয়া বলে ফোঁসে কি দেখিলাম শেষে অসময়ে বাড়ি ফিরে। আজ বুজি অকস্মাৎ মোর ভাবনা ধুলিসাৎ চলে যাব বাড়ি ছেড়ে।। হস্ত বেঁধে দুধ দেয় সকলের প্রসংশা নেয় সবাই বলে সে বড় সতী। সকল সংশয় ত্যাগে এক রাত্রি জেগে দেখি তিন জন তার পতি।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register