Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

অণুগল্পে পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি

maro news
অণুগল্পে পঙ্কজ কুমার চ্যাটার্জি

বুদ্ধির্যস্য

ক্লাস ফোরে পড়ি। আমি আর নীলু বাজার থেকে ফিরছি। রেল কোয়ার্টার থেকে বাজার পাঁচ মিনিটের পথ আর গাড়ি-ঘোড়ার ভয় নেই রেল কলোনি মধ্যে। তাই সেই বয়স থেকেই আমরা, মানে আমি আর বন্ধুরা ছোট খাটো বাজার করে আনতাম বাড়ির জন্য। সেই দিন নীলু্র হাতে তুলে দিলাম ক্যারম খেলার গুটির মত দেখতে বিল বিস্কুট গোটা পাঁচেক। এখন এই বিস্কুট পাওয়া যায় কিনা জানি না। নীলু বললো, “কোথায় পেলি?” ভাবলাম ও নিশ্চয়ই ভাবছে আমি বাড়ি থেকে চুরি করেছি। ওকে বললাম, “সামান্য অঙ্কের খেলা।” ও হাঁ করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।

আমি ১৯৬১-৬২ সালের কথা বলছি। ১৯৬০ সালে ডেসিম্যাল প্রথা আমাদের দেশে চালু হয়। ফলে পয়সা, আনা- এসব উঠে যায়। নতুন মুদ্রা হয় এক, দু্ই, পাঁচ, দশ, পঁচিশ, পঞ্চাশ নয়া পয়সা। তারপর থেকে নোট- এক টাকা থেকে শুরু। তবে কেনাবেচার সময় সবাই এক, দুই, তিন আনা, সিকি ইত্যাদি বলতো। আর নয়া পয়সায় এক আনায় ছয়, দুই আনায় বারো, তিন আনায় উনিশ আর চার আনা বা সিকিতে পঁচিশ নয়া পয়সা ধার্য হতো। তখন এক আনা, দুই আনা বা সিকিতে জিনিস কেনা যেত। আমাকে এক সিকির কিছু জিনিস কিনতে বললে আমি প্রথম এক দোকান থেকে দুই আনার কিনতাম। একটা সিকি দিলে আমাকে তেরো নয়া পয়সা ফেরত দিতো। তারপর অন্য দোকান থেকে আবার দুই আনার জিনিস কিনতাম। দিতে হতো বারো নয়া পয়সা। অর্থাৎ আমার লাভ এক নয়া পয়সা। এই ভাবে এক সপ্তাহে দশ বারো পয়সা জমে যেতো। আর তা দিয়েই........

সব শুনে নীলুর চোখ ছানাবড়া!

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register