Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

এক মাসের গল্পে পাপড়ি ভট্টাচার্য (প্রথম পর্ব)

maro news
এক মাসের গল্পে পাপড়ি ভট্টাচার্য (প্রথম পর্ব)

ক্যানভাসে নানা রং

আমাদের পাড়ায় আমার তিন বন্ধু খুব সুন্দরী। আমি তেমন নই, তাই ওদের থেকে একটু তফাতে থাকি। আমরা সবাই কলেজে পড়ি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন কলেজে।তবে সবাই থাকি মফস্বলে।পাড়ায় যখন দূর্গা পূজা হয় সেই সূত্রে আমরা একজোট হই।অন্য পাড়ার ছেলেমেয়েরাও আসে,আড্ডা নাচ, গান, নাটক করে পুজোর শেষ দিন বেশ ভালরকম হৈচৈ হয়। সবকিছুতে থাকি ঠিকই তবু নিজেকে গুটিয়ে রাখি। কেন এমন হয় নিজেও জানিনা। সন্ধের পর পড়ার টেবিল ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে মন দিতে পারিনা। ওরা পড়াশোনার ফাঁকে একসাথে শপিং মলে, সিনেমায়, রেস্টুরেন্ট এসবে খুবই এনজয় করে।আর আমি ইচ্ছেকে রেজিস্ট করি। তাছাড়া ওদের মত মড পোশাক আসাকে আমি একদম বেমানান। ওদের হাসি ঠাট্টায় সেটা টের পাই। আমার বাবা শিক্ষক,মা শিক্ষিকা। কিন্তু আমিও ঐ পথে যাব এমন কোনো ইচ্ছে নেই। তবে পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট করতেই চাই। এটা ছোটবেলায় বুঝতামনা খুব মার খেতাম। এখন বাবা- মা আর কোন চাপ দেননা। তাঁরা বুঝেছেন কণ্যার বোধোদয় হয়েছে। হয়তো ভাবেন মেয়েও টিচার হবে। সোমা,অনন্যা,আর দোলা ও পড়াশোনায় খুব ভালো। কিন্তু আরও ভালো হবার চেষ্টা নেই। তিনজনের ই বয়ফ্রেন্ড আছে। কলেজ এর পর বা অফ ক্লাসে এদিক ওদিক ঘোরা ওদের নিত্য রুটিন। এক্ষেত্রে ওদের নিত্য সঙ্গী স্মার্ট ফোন। আমার হাতে মুঠো ফোন থাকলেও বাড়িতে সেই সাবেকি ল্যান্ডফোন।অতএব সেই অতন্দ্র প্রহরী জানিয়ে দেয় আমি সময়মতো বাড়ি ফিরেছি কিনা। তাঁরা ঘড়ি ধরে ঠিক বাড়িতে ফোন করেন। বাবা একটু কনজারভেটিভ মাইন্ড। মেয়েদের দোকানে, বাজারে যাওয়া পছন্দ করেন না। অথচ বাবা কি জানেন না, মেয়েরা সর্বত্র কাজ করছে ছেলেদের সঙ্গে সমান তালে। আমার মা স্কুল আর বাড়ি ছাড়া কোথ্বাও যায়না।যাওয়ার প্রয়োজন ও হয়না। আমি আর মা ঘরের কাজ করতে করতে বা অবসর সময়ে খুব আড্ডা দিই।ঐ বন্ধুদের চেয়ে মা আমার খুব ভালো বন্ধু। একদিন জানতে পারলাম সোমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অনন্যার বয়ফ্রেন্ড ইকো পার্কে হাত ধরাধরি করে ঘুরছে।

ক্রমশঃ

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register