Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

ক্যাফে গদ্য কাব্যে রহিত ঘোষাল

maro news
ক্যাফে গদ্য কাব্যে রহিত ঘোষাল

বন্দিনী

চিনির গুঁড়ো ভেবে কাচের উপর জিভ দিতেই ফোঁটা ফোঁটা অমৃত মাটিকে করে দিল লাল, তারপর ফামীদার চুলের মুঠি ধরে নামিয়ে আনলাম মুখ পাহাড়ের চূড়ায় তখনো একটুখানি বরফ। যতই এলোমেলো করে দেই নদী প্রবাহের মতো এসে মিশে যায় আনত সমুদ্রের অতোল জরায়ুর ভেতর। মাস পহেলা তাই বিন্দু বিন্দু ঘাম কে তোয়াক্কা করি না হাঁপিয়ে যাই না হাঁপরের মতো ওঠানামা করে শরীরের মধ্যভাগ। ফামীদার হাতের আংটিটা চাঁদ পাথরের,একদিন খালি পায়ে হাঁটতে হাঁটতে কুড়িয়ে পেয়েছিল ওই চোখ,এই মুহূর্তে যে দুটোতে কাজল লেপটে গেছে। যেই মহাসড়ক পুরুলিয়ার দিকে এঁকেবেঁকে গেছে তারই মধ্যের কোনো এক মাইল ফলকের উপর থেকে তুলে এনেছে ওর ঠোঁটের সেই রং। ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঙ্গারক থেকে নিয়ে এসেছে স্তন বৃন্তের গঠন। মাসাই মারা থেকে সেবার নিয়ে এসেছিল সেরেঙ্গেটির তুল্য গোপনাঙ্গ ও অগ্নিমুখ। বিজ্ঞাপন বলে উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণ,আমি ফাহমীদাকে শ্যামের সাথে ভাগ করে নিতে পারব না।ওর দেহের প্রতিটা স্বেদ-গ্রন্থি মহাজীবনকে প্রলয়ের মুখোমুখি করলেও আমি পারবো না,অজানা সব গ্রহ নক্ষত্রের দিব্যি, আমি একেবারেই পারবোনা ইহুদিদের নিয়ন্ত্রিত কোনো এলাকায় ওকে একা ছেড়ে দিতে। আমি কোনদিন পারবো না মঙ্গলদের ঘোড়ার খুরের আওয়াজ শুনে ওকে একা ফেলে যেতে। আমি পারবোই না ওকে তিনেমেন স্কয়ারের ট্যাংকের সামনে শুইয়ে রেখে মুখ ফেরাতে। ফামীদাকে আমি প্রথম যেদিন দেখি ওর হাতে ছিল পাথর,সেই পাথর গিয়ে পড়েছিল আগ্রাসনের উপর। ফামীদাকে আমি দ্বিতীয়বার যখন দেখি ও তখন শরনার্থী শিবিরে আড়াই বছরের সন্তানকে কাঁখে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পানীয় জলের লম্বা লাইনে। ফামীদাকে আমি শেষবার যখন দেখি ও নিজের পাসপোর্ট খুঁজে বেড়াচ্ছিল মৃত যোদ্ধাদের পরিত্যক্ত জিনিসপত্রের ভেতর।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register