Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলায় স্বপঞ্জয় চৌধুরী (পর্ব - ৪)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলায় স্বপঞ্জয় চৌধুরী (পর্ব - ৪)

পরজীবী

চার সেলিনার চোখ ক্রমশই ঝাপসা হয়ে উঠে। সে জ্বরের ঘোরে আবল তাবল বকতে থাকে। ‘আম্মা আমারে নিয়া যাও। এই সংসারের বৈঠা আমি আর বাইতে পারবো না আম্মা, আব্বা কই তোমরা।’ সাদিব সজোরে দরজা খুলে বাহিরে বের হয়ে আসে। ‘দাদিজান আম্মাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হইবো’। উপরের ঘর থেকে নতুন বউ মুনিরা বাইরে আসেন। ‘কে এই ছেলে মা।’ দাদি অপ্রস্তুত হয়ে ওঠে। ‘আরে ওরা হচ্ছে পরজীবী, পরগাছা । এদের কথা কানে নিওনাতো বউ। যাও তোমার ঘরে তুমি যাও। সাদিবের বাবাও ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে। ‘এই কি হয়েছে, এত চেচামেচি কিসের’। সাদিব আবেগ আটকে রাখতে পারেনি। ‘আব্বা আম্মার জ্বর তারে ডাক্তারের কাছে নিতে হইবো।’ মুনিরা এবার গর্জে ওঠে। ‘ কি তোমাকে এই লুলা ছেলে আব্বা বললো কেন?’ জুলহাস কোনো কথা না বলে নিচের গুদাম ঘরে গিয়ে সেলিনার চুলের মুঠি ধরে বলে। এখন ছেলেকে ব্যবহার করছিস মাগি। যা বাহির হইয়া যা বাড়ি থিক্কা। কেউ কিছু বোঝার আগেই তিনজনকেই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাদের পরনের কাপড়গুলো একটা গাট্টিতে বাঁধা ছিল। তাদের কোনো আলমারি ছিল না। তাই সেই গাট্টিটিও ছুড়ে ফেলে দেয় বাইরে। জুলহাসের মা মুখে টিপ্পনি কেটে বলে- “ হুম্ম, যাক বাবা এতদিনে কাজের কাজ করেছিস। আপদ অপয়া বিদায় হলো। এবার যদি বাড়ির উপর থেকে শনির দশাটা কাটে।” মুনিরা কিছু বলার আগেই তাকে ঘরের ভেতরে ঢুকতে বলা হলো। মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে জুলহাস। “ আগুনতো লাগলো মা, এবার নিভাবো কিভাবে? নতুন বউকে কি বলে বুঝ দেবে।” জুলহাসের মা মুখে পান গুঁজতে গুঁজতে বলে- “ তোর মায়ের যে গল্প বলায় একটা সুনাম আছে তা কি ভুলে গেলিরে বাবা। কিছু একটা গল্প বানিয়ে বলে দিবানি”।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register