- 3
- 0
খুব ভালো ভাবে হায়দ্রাবাদ ঘুরে আমরা ২৯/৪/২০১৮ রবিবার কেচিগুড়া স্টেশন থেকে (হায়দ্রাবাদ স্টেশন) ট্রেন ভেঙ্কটেশ্বরীতে উঠলাম প্রায় সন্ধ্যে ৬ টা নাগাদ। আর পরদিন রেনিগুন্টা পৌঁছালাম প্রায় সকাল ৭-৩০য়। আমরা তিরুপতি স্টেশনে নামিনি। তার আগেই রেনিগুন্টা স্টেশনে নেমে পড়লাম। মোটামুটি দরটর করে একটা গাড়ি বুক করে চললাম হোটেল "গোবিন্দা হাইটস্" এর পথে। রেনিগুন্টা থেকে হোটেল আসার পথে বাঁদিকে একটা বড়ো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ দেখে ছিলাম। আর দেখেছিলাম "হোটেল ব্লিস" বেশ পছন্দসই হোটেল। কিন্তু আমাদের যেহেতু হোটেল বুক করা ছিল তাই ঐ দিকে আর তাকালামই না। ১১ কিমি যাওয়ার পর আমাদের হোটেল চলে এল। আগে থেকে বুক করে রাখা ছিল হোটেল "গোবিন্দা হাইটস্"। তিরুমালা বাইপাস রোডে হোটেলটা মেইন রোড থেকে এক মিনিট ভেতরে। গাড়ি যায়। মেইন রোডে মিউনিসিপ্যাল কমপ্লেক্সের ঠিক পাশেই।
প্রচুর শাড়ির দোকান, খাবারের দোকান, বিশেষ করে জুসের দোকান, এখানে ফলের রসই দেয়, বরফ মিশিয়ে দেয় না। মিউনিসিপ্যাল কমপ্লেক্সে বেশ কয়েকটি শাড়ির দোকান। বিকেলে দোকান দেখতে দেখতে আমি দুটো শাড়িও কিনে ফেললাম। 'গোবিন্দা হাইটস্' খুবই সাধারণ মানের হোটেল। তবে বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। যত্নআত্তির কোনও ত্রুটি হয়নি।হোটেলের ছাদে উঠলে দেখা যায় তিরুমালাই পর্বতের উপর তিরুপতি বালাজির মন্দির। হোটেলের সামনে মাধবম্ রেস্ট হাউজ, তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানম্। এইসব জায়গায় থাকতে হলে অনেক আগে থেকে বুক করতে হয়। দুপুরে আমার ঘরেই লাঞ্চ করলাম। রুম সার্ভিসের ছেলেটা আমাদের খাবারের অর্ডার দেখে অবাক হয়ে গেল আমরা তিনজনের জন্য এক প্লেট ভাত অর্ডার করছি দেখে। ছেলেটি বলল, "আপ লোগ তিন লোগো কে লিয়ে এক প্লেট ভাত অর্ডার কর রহে হ্যাঁয়, হামারে ইধার এক আদমি তিন প্লেট ভাত খাতে হ্যাঁয়। ব্রেকফাস্ট মে ৭/৮ টো ধোসা খাতে হ্যাঁয়"। বলে কি সাত আটটা ধোসা! মাগো! তখন বুঝলাম এই তেঁতুল গুলো এমন দেখতে কেন হয়। আমরা তো ওদের কাছে লিটিপুট!
রাতে আর বেশি কিছু খেলাম না। কাল ভোরে বালাজি দর্শনে যাব। একটা চাপা টেনশন কাজ করছিল আমার মনে। ভালোয় ভালোয় তিরুপতি দর্শন হলে যেন বাঁচি। যে জন্যে আসা।
সে রাতে আর ঘুমই হলনা। একটা চাপা টেনশন। যতক্ষণ না দর্শন হচ্ছে। স্নান সেরে মি. বোস কে ডেকে দিলাম। তখন রাত ৩:৩০ অপেক্ষা! বালাজি কে দেখব! প্রাণ ভরে দেখব! ক্রমশঃ
0 Comments.