ফার্স্ট স্টপ
ফার্স্ট স্টপ : অথ মার্জার কথা
কয়েকজন কমরেড সন্ন্যাস নিয়েছিলো পড়ন্ত বিকেলে। আশৈশব সফেদ পাতা হলুদ রং-এর হতে বারান্দা ডিঙানো একটা লাফই তারজন্য যথেষ্ট। বিড়ালটা সবে মাছের চুরি যাওয়া পিসটা সাবার করে আরামে জিভ চাটছে, তার গোঁফে ঝুল ঝুলছে।কোন কোণায় তার মন কে জানে!তবু তার ডিঙানোটা বড় আশ্চর্যজনক লাগে মাঝে মাঝে। সন্ন্যাসীগুলো পাহাড় ডেঙালে যে মুঠোভরতি চাল ফলতো তাতে বিকেলের রোদ আরো সোনালী হতো ধানে। ব্যালকনি থেকে ঝুলে পড়তো আঙুরলতা। কমরেড সুরা পানে শৈশব খোঁজে বার্ধক্যের ভাঁজে, আর সাদা আস্তিনে কালো যৌবনকে ক্ষতবিক্ষত করে জানান দেয় তার যান্ত্রিক নিউরনকে— সে মরে না কোনোদিন
এইরাতে যে কাকটা হঠাৎ ডেকে উঠলো তার নাম দিলাম কমরেড কাশ্যপ। কাকটা অসময়েও গোত্র ছায়ায় ম্লান করছে চাঁদকে। সন্ন্যাসীগুলো মন্ত্রজপ করতে শিখলো, ভুলে গেল বারান্দা, বিড়াল আর মাছের পিসের ঝুলকালি মাখানো গোপন কোণের সন্ধিকাল। পড়ে রইলো শুধু ভ্রান্তিবিলাসী কর্মযোগীর রোদে পুড়ে গেরুয়া হয়ে যাওয়া লাল শালু — জেএন ইউতে উড়ছে। সময় কি তবে পড়ন্ত বিকেল? তবে সংঘবদ্ধ ইভিনিং ওয়াকের প্রস্তাব রাখি
শাল্যদানী
0 Comments.