Sun 21 September 2025
Cluster Coding Blog

সাতে পাঁচে কবিতায় উজান উপাধ্যায়

maro news
সাতে পাঁচে কবিতায় উজান উপাধ্যায়

বিবাহ

দরজা খুললাম। ঘরের বাইরে থেকে উড়ে এলো আশ্চর্য এক আলো, ঘরের ভিতর।
সেইখানে ঘুমিয়ে আছে বুড়ি, পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃসঙ্গ রমণী।
চামড়ায় প্রজাপতি আঁকা। ভ্রুপল্লবে চন্দন গাছ। চুপসে শীতল নিভু স্তন । হামাগুড়ি দিচ্ছে আকাশ‌।
বুড়িটার শরীরে এক নদী, আটান্নটা ভাঁজ করা সিঁড়ি। দরজায় আটকে গেছে মেঘ, মেঘের বয়সী সেই বুড়ি।
দরজা খুললাম। উঠে এলো একটি বিছানা। চৌকির থেকে কিছু বড়ো, হামাগুড়ি দিচ্ছে জাহাজ। জাহাজের বিরহের কথা ভোঁ শব্দে শূন্যতার ছায়া।
এইসব রোজকার কথা, এখানে বৃষ্টি স্ট্রেঞ্জার। এখানে মেঘের উপবাস, নির্জলা বালক পিয়ন।
দরজা খুললে হেঁটে আসে, একা একা অরণ্যের রাত-বাঁশির সুরটা খুব চেনা।
বাঁশিওয়ালা পরিচিত লোক, তবুও দৃশ্যমান নয়-কাছে কাছে টের পাই ঘ্রাণ-দেখা বা না দেখা যাই হোক- লোকটাকে কখনও বুঝিনা।
খুঁজে দেখা ধাঁধার মতোই-দরজায় বুড়িটি ঘুমায়-চৌকির পায়া যেন ঘোড়া।
বুড়িটির বিবাহ দেওয়া হোক, বাঁশিকেই সানাই ভাবুক লোক।
বাঁশিওয়ালা পলাতক স্বামী।
দরজায় ঝাউবন রাখা, ঘড়ির ভিতরে মৃত আমি।
নদী কিন্তু খুব বহুগামী। পরকিয়া জন্মস্বভাব।
দরজায় মাথা কুটে মেঘ বুড়িটার শুষ্ক জঠরে জন্ম দিচ্ছে আজন্মের শোক।
প্রজাপতি চতুর শাসক।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register