সেই লাল পাঞ্জাবীটি এখনো পরো!
আমার পছন্দ বরাবরই ঝকঝকে রং
বাইরের দৃষ্টিকে বিষণ্ন করতে আমি দেইনি কখনো।
ভেতরের বর্ষা গোপনে থাকুক
তবুতো ফোটে জুঁই বেলি গন্ধরাজ।
তোমাকে দিয়েছি ফাগুন কিংবা বসন্তের রং
তুমি রাস্তায় কোনো স্থূলকায় নারী দেখলে কী বলতে
এখনো মনে পড়ে
আদর কিংবা শরীর যে কোনো অনুভবেই তোমার
আমার পাঁচফিট আড়াই ইঞ্চির বায়োলজি আর ঠোঁট ।
ভালোবাসার কথা মনে হলে দীঘল আইল্যাশে
জড়ানো গভীর কালো চোখ
অন্য আর কিছু বেশি মনে ধরে না তোমার।
সত্যি মিথ্যে জানি না।
তোমার কথাগুলো তখন, আমার বেদ।
একমুখি, মায়ায় কবে যে হয়েছি জীর্ণ - রিরচিণ।
তোমাকে দিয়েছি বসন্ত দিন, উজ্জ্বল রঙের কত যে বাহার।
সব রং মুছে গেলে বিবর্ণ পাতাগুলো ধুয়ে যায় তবু নতুন বর্ষায়।
তুমি হয়তো উজ্জ্বল দিনরঙা শাড়ি কেন এখন।
আমি রাতের বর্ষায় ফুলের গন্ধে ভিজে উঠি থেকে থেকে
প্রিয় বেলি বেলকনির টবের গাছে গন্ধ ছড়ায়....
0 Comments.