মেহেফিল -এ- শায়র রুদ্র সুশান্ত
সবাই উলঙ্গ লাশ
এক উলঙ্গ বৃদ্ধ দাঁড়িয়ে শ্মশানকোণে--
কেউ নেই, নেই কোন আত্মচিৎকার, বিমর্ষ কোন বেদনা নেই।
মন্দিরে নেই আলোকবাতি, প্রদীপের উজ্জ্বল শিখা নেই, একটি অবলা পশু ঝলঝল করা চোখে আকাশপটে দৃষ্টিরত।
শ্মশানভূমি শ্মশ্রুহীন, ভিখারী বা মহারাজ, শিব কিংবা রাষ্ট্রনেতা শ্মশানঘাটে শ্মশানকালীর ত্রিলোচনে সবার-ই একই দৃশ্যায়ন। অগ্নিকোণের ঠাঁই দাঁড়ানো কুঠিটা নড়বড়ে ভেঙ্গে গেছে, শিরশির বাতাস বইছে হালকা।
বৃদ্ধের বাঁ হাতে আগুন ডান হাতে জল
রক্তাক্ত চক্ষু, জিজ্ঞাসু অবিরল।
কেউ খবর রাখেনি, আরেকটি লাশ আসবে, নিয়ম ভেঙে অনিয়মে পুড়ে যাবে অঙ্গার। শেষ আত্মচিৎকারের আত্নহুতি হবে উলঙ্গ বৃদ্ধে বাঁ হাতের আগুণে।
আমরা সবাই লাশ, ব্যবধান শুধু- কোন লাশ কথা বলে কোনটা বলেনা।
আমাদের লাশের অন্তিমযাত্রায় বৃদ্ধের জলে রবে ছলনা।
তুমি পুড়ায়ে দিও অন্তরভূমি,
আপাদমস্তক শ্মশানে চুমি।
ভুলে যাবো তবে বৃদ্ধের ইতিহাস
এটাই একজীবনের প্রথম সর্বনাশ।
0 Comments.