Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

T3 সাহিত্য দ্রুমের হাফ সেঞ্চুরি পর্বে শাল্যদানী

maro news
T3 সাহিত্য দ্রুমের হাফ সেঞ্চুরি পর্বে শাল্যদানী

আমি তরী নিয়ে বসে আছি নদী কিনারে

নৈঋত কোণে চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস। ভোকাবলারির সবকিছুই আজ লালে লাল। টিফিনে লুচি আর ঘুগনি। দুটোর রং ই আপাত হলুদ। নৈহাটি স্টেশনের ১ নং প্লাটফর্ম থেকে বেরিয়ে চোখে পড়বে পাকিস্তান বাজার। ভারতবর্ষে এ যেন পাকাচার। লঘুপাকের সরপুরিয়া থেকে শুরু করে আমার একমাত্র ভাগনির প্রিয় কোলা ব্লাস্ট ওখানেই পাওয়া যায়। এগিয়ে দাঁড়ায় রাজকেবিন আর তারপাশে পরপর দুটো ফুচকার দোকান। ১০ এ ১০। ফুচকার দোকান বলে দিলাম যতটা সহজে তার থেকে অনেক কঠিন দোকানদুটির রংয়ের বাহার। পাতাবাহার। পাতাইতো - পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, শালপাতা। দোকাদুটির সিংহদ্বারে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন কানা উঁচু থালায় হলুদ ঘুগনি। তার উপরে আবার পাতাবাহার। লাল লঙ্কারগুড়ো ছড়িয়ে আমার চতুর্থ শ্রেণীর ভোকাবলারির দশা। আমি ঘাবড়ে যাই। চোখে আসে দইবড়া। সাদা সাদা দইয়ে জমা দ্বীপগুলো দেখে আমি স্বস্তি পাই। না, এ যাত্রায়ও স্বস্তি হলো কই। সাদা দই আমায় মনে করিয়ে দিলো ফাঁকা খাতার পাতাগুলোর কথা যা লালে আজো লাল হয়ে আছে। পাতাগুলো হলুদ হয়ে গেছে আর লালগুলো সিঁদুরের দাগ..... আর বলবো না। এবার আপনাদের পালা, আপনাদেরই বলতে হবে বাকিটা। নৈঋত কোণ কখন সিঁদুর লাল হয় বলতে পারেন? যদি উত্তরটা জেনে থাকেন তবে আপনার আজকের এই হাফসেঞ্চুরির রহস্যও জানা আছে। তাও যদি আপনি উত্তর খুঁজে না পান তবে আপনি আমার ঘাটে মোটেই পাড় হতে আসবেন না। আমি তাদের জন্যই নৌকা বেঁধেছি ঘাটে যাদের আঙুলের ছাপ অনেকটা মানুষের মতো।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register